ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বৈশ্বিক সমস্যা: বাইডেন

ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনকে ‘বৈশ্বিক সমস্যা’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
জাপান সফরে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনকে 'বৈশ্বিক সমস্যা' হিসেবে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এ সংকট আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জোট 'কোয়াডের' বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তৃতায় বাইডেন এ মন্তব্য করেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার 'কোয়াড' জোটের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, 'এটি শুধু ইউরোপের সমস্যা নয়। এটি বৈশ্বিক সমস্যা।'

তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'ওয়াশিংটন মিত্রদের পাশে দাঁড়াবে। মুক্ত ও স্বাধীন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেবে।'

'বিশ্বের কোথাও আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলো লঙ্ঘন করা হলে তা প্রতিরোধ করা হবে,' যোগ করেন বাইডেন।

‘কোয়াড’ জোটের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এটি শুধু ইউরোপের সমস্যা নয়। এটি বৈশ্বিক সমস্যা।’ ছবি: রয়টার্স

গতকাল সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে জানান, ভবিষ্যতে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে 'পেশী শক্তির' ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করতে সারা বিশ্বের উচিৎ রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।

জার্মানি জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) খুব শিগগির রাশিয়ার তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।

ইইউয়ের ২৭ সদস্যের বেশিরভাগই রুশ জ্বালানির ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল।

রুশদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে হাঙ্গেরি তাদের নিজ জ্বালানিখাতে বিনিয়োগের দাবি জানিয়েছে। তাদের এই দাবি ইইউয়ের চাহিদার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মস্কো ইতোমধ্যে জানিয়েছে, আগামীতে চীনের সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, সেহেতু ক্রেমলিন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।

এক বক্তৃতায় লাভরভ বলেন, 'যদি তারা (পশ্চিম) আবারও সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়, তাহলে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দেখবো তা আমাদের প্রয়োজনে আসবে কি না।'

'যেহেতু পশ্চিম একনায়কসুলভ অবস্থান নিয়েছে, চীনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দ্রুতগতিতে জোরদার হবে', যোগ করেন লাভরভ।

 

Comments