‘যা কিছু শিখেছি তা যেন বিলিয়ে যেতে পারি’
বাংলাদেশের স্বনামধন্য মূকাভিনেতা পার্থ প্রতিম মজুমদার। ১৯৫৪ সালের ১৮ জানুয়ারি পাবনা জেলায় জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ছিলেন ফরাসি মাইম লিজেন্ড মারসেল মার্সোর শিষ্য। সাংস্কৃতিক জগতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ফরাসি সরকারের ‘শেভালিয়র’ উপাধি। বাংলাদেশি হিসেবে একমাত্র তিনিই এ পদক পেয়েছেন। ৬৩তম জন্মদিনের প্রতিজ্ঞা, স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন এই গুণী শিল্পী।
দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন: জন্মদিনের প্রতিজ্ঞা কি?
পার্থ প্রতিম মজুমদার: শুধু জন্মদিন উপলক্ষে নয়, প্রতিজ্ঞাগুলো আমৃত্যু থাকবে। বাংলাদেশের পাবনা জেলা থেকে সুদূর প্যারিসে এসেছি। মাইম লিজেন্ড মারসেল মার্সোর চরণ ছুঁতে পেরেছি। তাঁর শেখানো কাজগুলো যেন ভালোভাবে করে যেতে পারি সেটাই আমার সব সময়ের প্রতিজ্ঞা।
দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন: আপনার ওয়াইল্ড ফ্যান্টাসি কি?
পার্থ প্রতিম মজুমদার: প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব ভাবনা থাকে। আমার ভাবনাগুলো আমার মতো করে সাজাই। সেগুলো ওয়াইল্ড ফ্যান্টাসি কী না জানি না।
দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন: কোন স্বপ্ন?
পার্থ প্রতিম মজুমদার: আমি বাংলাদেশের মানুষ। তবে দীর্ঘদিন হলো দেশের বাইরে থাকি। দেশের মানুষ যে সাফল্য অর্জন করেছে সেটা ধরে রেখে যেন আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। দেশ এগিয়ে যাক। দেশের সংস্কৃতির অঙ্গনে আরও সাফল্য আসুক – এটাই আমার স্বপ্ন।
দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন: কোন নতুন পরিকল্পনা?
পার্থ প্রতিম মজুমদার: এই বয়সে এসে পরিকল্পনা তো একটাই করি। তাহলো যা কিছু শিখেছি তা যেন বিলিয়ে যেতে পারি।
দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন: ফ্রান্সে মূকাভিনয়ের চর্চা কেমন?
পার্থ প্রতিম মজুমদার: মারসেল মার্সোর মৃত্যুর পর ফ্রান্সে মাইম যেন মরতে শুরু করেছে। কয়েকজন মাত্র এই শিল্প নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন: তাহলে ফরাসি দেশে মূকাভিনয় কি একটি মৃত শিল্প?
পার্থ প্রতিম মজুমদার: না, তা কোনদিনই হবে না। কেননা, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। প্রতিটি পারফরমিং আর্ট দাঁড়িয়ে আছে মূকাভিনয়ের ওপর।
দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন: আপনার ভক্তদের উদ্দেশ্যে কোন বার্তা?
পার্থ প্রতিম মজুমদার: আমি সবাইকে অনুরোধ করবো নিজেকে বোঝার চেষ্টা করুন। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা থাকা প্রয়োজন। আসুন আমরা নতুন প্রজন্মের জন্য কাজ করি।
দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন: আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
পার্থ প্রতিম মজুমদার: ধন্যবাদ।
Comments