৩০ মিনিটে করোনার ধরন শনাক্ত করতে পারে যে বায়োসেন্সর
দক্ষিণ কোরিয়ার একদল বিজ্ঞানী একটি নতুন স্ক্রিনিং বায়োসেন্সর উদ্ভাবন করেছেন, যা ৩০ মিনিটের মধ্যে করোনাভাইরাসের ধরন শনাক্ত করতে পারে। এর মাধ্যমে পাওয়া ফলাফল পলিমেরাস চেইন রিয়্যাকশন (পিসিআর) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পাওয়া ফলের মতোই নির্ভুল।
লি কোয়ান হি এর নেতৃত্বে কোরিয়া ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (কেআইএসটি) একদল বিজ্ঞানী এই উচ্চ পর্যায়ের সংবেদনশীল ও সহজে বহনযোগ্য বায়োসেন্সরটি তৈরি করেন। ভ্যারিয়ান্ট পরীক্ষার জন্য এই সেন্সরটি এইস-টু নামের এক ধরনের অ্যাঞ্জিওটেনসিনে রূপান্তরকারী এনজাইম ব্যবহার করে।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গবেষণা সংস্থার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়া হেরাল্ড গত বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে।
এইস টু একটি ভাইরাস রিসেপ্টর, যা এ যাবৎ চিহ্নিত হওয়া করোনাভাইরাসের সব ধরনেই পাওয়া যায়।
বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত পিসিআর পরীক্ষা হচ্ছে এক ধরনের আণবিক পরীক্ষা, যার মাধ্যমে মানবদেহে করোনাভাইরাসের জেনেটিক উপাদান খোঁজা হয়। পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল পেতে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা লাগে। এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা থেকে শুরু করে ১ দিনও লেগে যায়। পিসিআরের পাশাপাশি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টও (র্যাট) দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মাত্র ২০ মিনিটেই এ পরীক্ষার ফল পাওয়া যায়।
তবে অ্যান্টিজেন টেস্টের নির্ভরযোগ্যতা তূলনামুলকভাবে কম। অনেক ক্ষেত্রে র্যাট টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ আসলে পিসিআর পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
কেআইএসটি জানিয়েছে, নতুন বায়োসেন্সরটি সাফল্যের সঙ্গে ৩০ মিনিটের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারে। আর এর গ্রহণযোগ্যতা পিসিআর টেস্টের সমতুল্য।
জন হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ২৭ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৬ হাজার ৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের।
ওমিক্রন ধরনের কারণে সাম্প্রতিককালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত বুধবার বাংলাদেশে ১৫ হাজার ৮০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৫ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
Comments