সুরক্ষা অ্যাপ হালনাগাদের পরে সারা দেশে বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনার টিকার জন্য নিবন্ধনে ব্যবহৃত সুরক্ষা অ্যাপ হালনাগাদ হওয়ার পরে সারা দেশে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

করোনার টিকার জন্য নিবন্ধনে ব্যবহৃত সুরক্ষা অ্যাপ হালনাগাদ হওয়ার পরে সারা দেশে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব জায়গায় বুস্টার ডোজ দিতে হলে আমাদের সুরক্ষা অ্যাপের হালনাগাদের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা জানিয়েছি আইসিটি মন্ত্রণালয়কে, তারা কাজ করছে। আমাদের জানিয়েছে, এ মাসের শেষের দিকে তারা কাজটা সম্পন্ন করতে পারবে। তারপর আমাদের বুস্টার ডোজের কার্যক্রম পূর্ণ গতি লাভ করবে।

তিনি বলেন, এখন যারা বুস্টার ডোজ নেবেন, তাদের জন্য আমরা একটা ব্যবস্থা রেখেছি। ষাটোর্ধ্ব বয়সী এবং সম্মুখ সারির মানুষ ভ্যাকসিন কার্ড নিয়ে এলে আমরা বুস্টার ডোজ দিয়ে দেবো। বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ তাদের সবাইকে আমরা দেবো। বুস্টার ডোজ কীভাবে দেওয়া হবে সে সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যেই এটা আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জানিয়ে দেবো। কখন-কীভাবে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে আমি ডিজি অফিসকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা জনগণকে অবহিত করবে।

এখন যদি কেউ টিকা নিতে চায়, যাদের প্রাপ্য, তারা ভ্যাকসিন কার্ড নিয়ে গেলে টিকা নিতে পারবেন। যেখানে যেখানে ফাইজার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে সেখানে যেতে হবে। ফাইজার ভ্যাকসিন সব জায়গায় দেওয়া হচ্ছে না। কারণ এটি তাপমাত্রা সংবেদনশীল টিকা। অন্যান্য জায়গায় রাখার ব্যবস্থা নেই। রাখার ব্যবস্থা যেখানে আছে, সেখানেই দেওয়া হবে—বলেন জাহিদ মালেক।

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনো আমাদের দেশে সেভাবে ওমিক্রন ছড়ায়নি। প্রতিরোধে যেসব কাজ করতে হবে, সেদিকে আমাদের মনোযোগ বেশি। বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়েছে। বর্ডারে একই ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব হাসপাতালে রোগী বেশি আছে, সেখানে জিনোম সিকোয়েন্স করা হচ্ছে। ওমিক্রম কারো শরীরে থেকে থাকতে তা শনাক্ত করা যাবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শুধু ওমিক্রন নয়, করোনা তো আছে! ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট থেকেও যদি আমরা রক্ষা পেতে চাই, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে—যে কাজটি আমরা করছি না। ইউরোপের অনেকগুলো দেশ লকডাউন দিয়েছে। আমরা আমাদের দেশে লকডাউন চাচ্ছি না। মানুষ যেন বেপরোয়াভাবে না ঘুরে বেড়ায় কিন্তু সেটা হচ্ছে। রাজনৈতিক অনুষ্ঠানগুলো কীভাবে হয়! কক্সবাজারে লাখ লাখ মানুষ যাচ্ছে, কেউ মাস্ক পরছে না। বিয়ের হচ্ছে, কেউ মাস্ক পরছে না। তাহলে সংক্রমণ বাড়ার সুযোগ তো রয়েছে! আমরা এ বিষয়ে দুঃখিত।

Comments

The Daily Star  | English

Battery-run rickshaw drivers set fire to police box in Kalshi

Battery-run rickshaw drivers set fire to a police box in the Kalshi area this evening following a clash with law enforcers in Mirpur-10 area

2h ago