রমেকে পিসিআর মেশিন বিকল, বন্ধ করোনা পরীক্ষা
রংপুর মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর মেশিন ১ মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে বন্ধ রয়েছে করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা।
সিটি করপোরেশনের করোনা পরীক্ষার বুথ চালু থাকলেও সেখানে কেবল র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজনে এ অঞ্চলের মানুষদের ছুটতে হচ্ছে দিনাজপুর অথবা বগুড়ায়।
রংপুরে নগরীর সাগরপাড়ার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন তার ১৪ বছর বয়সী ছেলের করোনা পরীক্ষা করাতে দিনাজপুর মেডিকেলে আসেন। তিনি বলেন, রংপুরে পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সময় ও অর্থ বেশি ব্যয় হচ্ছে।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চামটাহাট এলাকার ব্যবসায়ী রাকিবুল হাসান বলেন, চিকিৎসার জন্য আমার মেয়ে রিয়াকে (১৪) ভারতে নিয়ে যাব। ইতোমধ্যে ভিসার কাজ হয়ে গেছে। স্কুল থেকে ২ ডোজ টিকাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা পরীক্ষার সনদ না থাকায় বিপাকে পড়েছি। আরটি-পিসিআর ল্যাবের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার নেগেটিভ সনদ সংগ্রহ করতে যেতে হবে দিনাজপুর অথবা বগুড়ায়।
একই অভিজ্ঞতার কথা জানান ওই এলাকার বাসিন্দা সুভাষ চন্দ্র। আরটি-পিসিআর ল্যাবের নেগেটিভ সনদ না থাকায় গত রোববার তাকে বন্দর থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। দুই নাতিকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
রংপুর মেডিকেল কলেজের নমুনা সংগ্রহকারী নোমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মেশিন নষ্ট হওয়ায় আপাতত নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। ঈদের পর চালু হওয়ার কথা থাকলেও কবে নাগাদ হবে তা নিশ্চিত না।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে পুরাতন সিভিল সার্জন ভবনে বুথ চালু আছে। সেখানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হচ্ছে। আগে নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হতো। মেশিন নষ্ট থাকায় এখন তা সম্ভব হচ্ছে না।
রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল চন্দ্র রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, মেশিন নষ্ট হওয়ার পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কবে নাগাদ মেশিন ঠিক হবে তা বলা যাচ্ছে না।
Comments