করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় চলমান আন্দোলন ও সংঘর্ষের মুখে তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিচাম মিচিচিকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি কাইস সাইয়েদ।
একই সঙ্গে গতকাল রোববার দেশটির সংসদও স্থগিত করেছেন তিনি।
বিবিসি ও আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের অব্যবস্থাপনা ও অর্থনীতির ভঙ্গুর অবস্থার কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে তিউনিশিয়ার সাধারণ মানুষ। দেশের বেশ কয়েকটি শহরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রনে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করায় আনন্দ মিছিল করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
রাষ্ট্রপতি কাইস সাইয়েদ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক ঘোষণায় জানান, নতুন প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি দেশকে শান্ত করার দায়িত্ব নেবেন।
তবে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি এক অভ্যুত্থানের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।
দেশটির সংসদের স্পিকার রাচেদ ঘানৌচি রাষ্ট্রপতিকে অভিযুক্ত করে বলেন, 'এই ঘটনা দেশটির বিপ্লব ও সংবিধানের পরিপন্থী।'
তিউনিশিয়ার ক্ষমতাসীন দল এন্নাদাহও রাষ্ট্রপতির এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এক ফেসবুক পোস্টের বিবৃতিতে বলেছে, 'কায়েস সাইয়েদ যা করছে তা বিপ্লব ও সংবিধানের বিরুদ্ধে এক অভ্যুত্থান। এন্নাদাহ পার্টির সদস্যরা এবং সাধারণ জনগণ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।'
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থার কারণে একবছরেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছিল।
ভোটের মাধ্যমে ২০১৯ সালে কাইস সাইয়েদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হোন এবং সংসদ গঠন করা হয়। তবে মিচিচি গতবছর এক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থলাভিশিক্ত হয়েছিলেন।
Comments