সৈয়দ আবুল মকসুদের ৭৫তম জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা অনুষ্ঠান
কলামিস্ট, চিন্তাবিদ ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে 'জীবন ও কীর্তি' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
স্মৃতি সংসদের আয়োজনে আজ বিকেল ৩টায় ইমারিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, মাহফুজ আনাম, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বদিউল আলম মজুমদার, র আ ম রবিউল মোকতাদির চৌধুরী, সাজ্জাদ শরিফ, সুভাষ সিংহ রায়, আসিফ নজরুল, শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, রোবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
সৈয়দ আবুল মকসুদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং সাংবাদিকতায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন জার্মানির বার্লিনস্থ 'ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিউট ফর জার্নালিজম' থেকে।
ছাত্র জীবনে আবুল মকসুদ ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় কর্মী ও বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। একাত্তরের ২৫ মার্চের পরে মস্কোপন্থী ন্যাপের নেতা আব্দুল হালিম চৌধুরীর গঠিত মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখা ছাড়াও কলকাতা থেকে প্রকাশিত আব্দুল মান্নান সম্পাদিত জয়বাংলায় যুক্ত ছিলেন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশ সরকারের ইনফরমেশন সেল-এ যোগদান করেন। বাহাত্তরের জানুয়ারি থেকে বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (সাবেক পিপিআই)–এ যোগ দেন, যা পরে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাথে অঙ্গীভূত করা হয়। বাসস-এ ছিলেন বার্তা সম্পাদক ও উপ-প্রধান বার্তা সম্পাদক। চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ'র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
সাহিত্য অঙ্গনে সৈয়দ আবুল মকসুদের যাত্রা ষাটের দশকে। শুরু থেকেই থেকেই কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ সহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেন। একজন গবেষক হিসেবে তিনি বহু মৌলিক আঁকর গ্রন্থের প্রণেতা—সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও সাহিত্য, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, পথিকৃত নারীবাদী খয়রুন্নেসা খাতুন প্রভৃতি। বাংলাদেশে মহাত্মা গান্ধী বিষয়ে গবেষণার পথিকৃত সৈয়দ আবুল মকসুদ।
গবেষণায় আবুল মকসুদের আরেকটি অনন্য অবদান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস চর্চায় অবশ্যপাঠ্য হয়ে উঠেছে। তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪০টির অধিক।
Comments