মুন্সিগঞ্জে পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবিতে মেয়র সমর্থকদের থানা ঘেরাও
সমর্থকদের ওপর পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবিতে আজ বুধবার মুন্সিগঞ্জ থানা ঘেরাও করেন মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লবসহ তার কয়েকশ সমর্থক।
আজ বুধবার বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মেয়রের সমর্থকরা থানার ভেতরে ও থানার সামনে সড়কে অবস্থান নেন তারা। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
থানায় অবস্থানরত নেতাকর্মীরা জানান, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস ও মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকদের মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় মারামারির ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের হয়।
বুধবার সকালে মেয়র ফয়সাল বিপ্লব তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে হয়রানির বন্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় আসেন।
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন অভিযোগ করে জানান, মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মেয়র পক্ষের সমর্থকদের মামলা নেয় না পুলিশ, বরং পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে। আমরা কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী এর প্রতিবাদ করতে থানায় গিয়েছিলাম।
তবে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লব বলেন, নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে তিনি থানায় গিয়েছিলাম। থানায় অবস্থানরত লোকজন অভিযোগ করলে সেটি তাদের ব্যাপার বলে জানান তিনি।
মুন্সিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, গতকাল মঙ্গলবার পৌরসভার পাচঘড়িয়াকান্দি এলাকায় পৌর কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন সাগর ও শহর আ. লীগের কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান বাবুলের সাথে একটা ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে দুই পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া যায়। মেয়র এসেছিলেন যেন এ ঘটনায় কাউকে হয়রানি করা না হয় সে বিষয়টি বলতে।
তিনি বলেন, মেয়রের সাথে সবসময় ২-৩ শতাধিক সমর্থক থাকে। তবে এটি থানা ঘেরাও কিংবা অবরুদ্ধ নয়। অযথা যাতে কেউ হয়রানি না হয়। আমরা যাতে কোন পক্ষপাতিত্ব না করি সে বিষয়ে তারা বলেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মিনহাজ-উল-ইসলাম জানান, মেয়রের পক্ষের লোকজন যাতে হয়রানির শিকার না হয় এজন্য থানায় এসেছিলেন তিনি। মেয়র একজন জনপ্রতিনিধি সেজন্য তার সঙ্গে লোকজন থাকে সবসময়। তাদের পক্ষ থেকে মৌখিক কোনো অভিযোগ তারা দেয়নি।
থানায় অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, মুন্সিগঞ্জ ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল মৃধা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হাসান সোহেল, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র সোহেল রানা রানু, পৌর কাউন্সিলর সাত্তার মুন্সী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুরুজ মিয়া, সদর থানা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, সরকারি হরগঙ্গা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি নিবিড় আহম্মেদ, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নছিবুল ইসলাম নোবেল।
Comments