পুলিশ সদস্যদের মোটরসাইকেলে অহেতুক ঘোরাফেরা বন্ধে কঠোর সিএমপি
পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে অহেতুক ঘোরাফেরা নিরুৎসাহিত করতে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তরুণ পুলিশ সদস্যদের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত এলেও কড়াকড়িতে বিপাকে পড়েছেন পুলিশের অন্য সদস্যরাও।
সিএমপি সূত্র জানায়, যেসব পুলিশ সদস্য বয়সে তরুণ ও ব্যারাকে থাকেন তাদের দুর্ঘটনায় পড়ার প্রবণতা বিবেচনা করে পুলিশ লাইনে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে ঢোকায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত বৃহস্পতিবার সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের সভাপতিত্বে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা এবং কল্যাণ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
এরই মধ্যে ব্যারাক থেকে মোটরসাইকেল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের।
পুলিশ লাইনে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল প্রবেশের নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিএমপি সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার আমির জাফর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কিছু পুলিশ সদস্য বিশেষ করে যারা ব্যারাকে থাকেন তারা মোটরবাইক নিয়ে অহেতুক ঘোরাফেরা করেন। এভাবে দুর্ঘটনায় পড়ে গুরুতর আহত এমনকি মৃত্যুও ঘটছে।'
'তাই কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তিগত মোটরবাইক ব্যবহার করাকে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। যারা অপারেশনাল কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বাইক ব্যবহার দরকার নেই। পুলিশ লাইনের ভেতরে ৭-৮টি অন্য অফিস আছে। যারা বাইরে থেকে অফিসে আসেন তারা মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে পারবেন,' বলেন পুলিশ কর্মকর্তা আমির জাফর।
পুলিশ লাইনে কর্মরত কয়েকজন পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার সকালে মোটরবাইক নিয়ে এসে বিপাকে পড়েন অনেক পুলিশ সদস্য। অনেকেই রাস্তায় মোটরসাইকেল রেখে অফিসে প্রবেশ করেছেন। এমনকি কিছু পুলিশ সদস্যকে ফুটপাতেও মোটরসাইকেল রাখতে দেখা গেছে। দুপুরের দিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কিছু মোটরসাইকেল ঢুকতে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দুর্ঘটনা রোধে এই নিয়ন্ত্রণ জরুরি ছিল, কিন্তু হুট করে কোনো বিশদ নির্দেশনা ছাড়া কড়াকড়ি আরোপে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারা আসলে প্রবেশ করতে পারবেন আর কারা পারবেন না এর একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড লাইন থাকলে সবার সুবিধা হতো।
কনস্টেবল পদে কর্মরত এক পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না শর্তে বলেন, 'করোনায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় জমানো টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল কিনেছি। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করলে আমাদের জন্য ভালো হতো।'
বছরখানেক আগে, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যারা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ও নম্বর প্লেটবিহীন মোটরসাইকেল চালান তাদের সাবধান করেছিল সিএমপি। এ ছাড়া সচেতনতা বাড়াতে সিএমপির সদর দপ্তরে হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
Comments