বদলে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কমপ্লেক্স

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কমপ্লেক্সে আবারো পরিবর্তন আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত ঐতিহাসিক এই স্থাপনা পরিবর্ধন ও পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কমপ্লেক্সে আবারো পরিবর্তন আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত ঐতিহাসিক এই স্থাপনা পরিবর্ধন ও পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল চাতালের সামনে বিশাল উন্মুক্ত চত্বর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর পশ্চিমে থাকবে আরও একটি চাতাল এবং পূর্বে থাকবে একটি পুকুর।

এটি হলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বর্তমান মূল চাতালের পরিবর্তে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ উত্তর পশ্চিম দিকের প্রস্তাবিত চাতালে আয়োজিত হবে বলে আশা করছেন পরিকল্পনাকারীরা।

এছাড়াও শহীদ মিনারের পেছনে সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উত্তর দিকে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২ দশমিক ১৭ একর আয়তনের একটি আবাসিক এলাকা। প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবাসিক ভবনগুলো ভেঙে এলাকাটিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল চাতালের সামনের উন্মুক্ত চত্বরের অংশে পরিণত করা হবে। উন্মুক্ত চত্বরের অংশে পরিণত হবে শিববাড়ী আবাসিক এলাকার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, শহীদ মিনার সংলগ্ন উত্তর ও পূর্ব দিকের সড়ক।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শহীদ মিনারের মূল প্লাজায় সভা, সমাবেশ বিক্ষোভ করা হয়, যা শহীদ মিনারের ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যায় না। তাই বর্তমান শহীদ মিনারের প্লাজার উত্তর-পশ্চিম দিকে আরেকটি প্লাজা নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ভাষা শহীদদের স্মারক সৌধ শহীদ মিনার বাঙালি জাতিসত্তার অন্যতম আইকন। শহীদ মিনার বার বার ভাঙা হয়েছে। ছাত্র-জনতা উদ্যোগে, দাবির মুখে বার বার গড়ে উঠেছে শহীদ মিনার। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজের আমতলায় বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সভা করে। সভা শেষে প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্যদের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার উদ্দেশ্যে আমতলা থেকে জগন্নাথ হলের দিকে যাওয়ার পথে তৎকালীন মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের সামনে পুলিশ গুলি চালায়। ভাষার দাবিতে আত্মদানের স্থানটিতে গড়ে ওঠে শহীদ মিনার। তবে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টা পরই পুলিশ এসে ভেঙ্গে দেয়। ১৯৫৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্র-জনতা আবার শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেন এবং পরদিন পুলিশ এসে আবার গুড়িয়ে দেয়।

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের পরে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। সরকার স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন সরকার তখন শহীদ মিনারের জন্য নকশা আহ্বান করলে বেশ কিছু নকশা জমা পড়ে। এর মধ্যে হামিদুর রাহমান ও ভাস্কর নভেরা আহমদের নকশাটি গৃহীত হয়। নকশায় স্থাপত্য, ভাস্কর্য, মুর‌্যাল, চিত্রকর্ম, ঝর্ণা, পাঠাগার, মিউজিয়াম ছিল। ১৯৫৭ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরের বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে শহীদ মিনারের ভিত্তিমঞ্চ ও তিনটি স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শেষ হয়। নভেরা আহমদ তৈরি করেন তিনটি ভাস্কর্য। হামিদুর রাহমান মুর‌্যালের উল্লেখযোগ্য অংশের কাজ শেষ করেন। ১৯৫৮ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে আইয়ুব খান ক্ষমতাসীন হলে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরের চার বছর ছাত্র-জনতা শহীদ মিনারের ভিত্তিমঞ্চে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

১৯৬২ সালে তৎকালীন সরকার শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য আবার উদ্যোগ নেয়। এ ব্যাপারে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। তবে হামিদুর রহমানের ডিজাইনের পরিবর্তে সাদামাটা শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৬৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সরকারের নির্মাণ ও ইমারত বিভাগ নির্মাণ করে শহীদ মিনার।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কামানের গোলাবর্ষণে আবারো গুঁড়িয়ে দেয় শহীদ মিনার।

মুক্তিযুদ্ধের পর পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ১৯৭২, ১৯৭৬ ও ১৯৮৩ সালে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১৯৭২ সালে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। তারা নকশা আহ্বান করলে ১২টি নকশার মধ্যে হামিদুর রহমান ও স্থপতি জাফরের নকশা শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়। কিন্তু কাজ বাস্তবায়ন হয়নি।

তবে ১৯৭৩ সালে নির্মিত শহীদ মিনারে যুক্ত হয় নতুন মাত্রা। ভাস্কর্যের পেছনে যুক্ত হয় একটি লাল বৃত্ত।

১৯৭৬ সালে তৎকালীন সরকার শহীদ মিনার পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদকে তখন দায়িত্ব দেওয়া হয়। বুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ থেকে পাওয়া তিনটি নকশার মধ্যে তখন স্থপতি ড. এম এ মুকতাদির প্রণীত নকশা গ্রহণ করে সরকার। নির্মাণ প্রকল্পের জন্য সাড়ে ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু কাজটি করা হয়নি বলেন গবেষকেরা।

এর বছর সাতেক পর ১৯৮৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সরকার ঘোষণা করেন, মূল নকশা অনুযায়ী শহীদ মিনার পরিবর্ধিত করা হবে। কিন্তু সরকারের গণপূর্ত বিভাগ মূল নকশার মূল বিষয়গুলো এড়িয়ে এক নকশা তৈরি করে এবং সেই অনুযায়ী নির্মাণ কাজ ১৯৮৪ সালে সমাপ্ত হয়। তখন মূলত শহীদ মিনারের চাতাল ও চত্বর সম্প্রসারণের কাজ হয়েছে।

বর্তমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মোট জমির পরিমাণ প্রায় ৪ একর। মিনারটি ৭০ হাজার বর্গফুট বা দেড় একরের চেয়ে কিছু বেশি এক চাতালের ওপর। ফুল দেয়ার বেদীটি (মিনারের পাদদেশে) আয়তন প্রায় ২ হাজার বর্গ ফুট। চাতালের উল্টো দিকে রয়েছে ৬৪ ফুটের রাস্তা। দুপাশে রয়েছে ১২ ফুট প্রশস্ত দুটি ফুটপাত।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে উন্মুক্ত চত্বর এবং পেছনে সড়ক নির্মাণের সাম্প্রতিক উদ্যোগ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যানে শহীদ মিনারের সামনে উন্মুক্ত চত্বর প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দে‌ওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

শহীদ মিনারের মূল নকশা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান কারিগরি কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এ প্রসঙ্গে ডেইলি স্টারকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির তীব্র সংকট রয়েছে। তারপরও ঐতিহ্যের প্রতি দায়বোধ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি শহীদ মিনারের জন্য দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল আরও বলেন, 'কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার শুধু আমাদের জাতীয় জীবনেরই নয়, আন্তর্জাতিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ বিশেষত ফেব্রুয়ারি মাসে শহীদ মিনার দেখতে আসেন। কিন্তু সেই তুলনায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বর্তমান জায়গার পরিসর সংকীর্ণ। নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শহীদ মিনারের উত্তর দিকের আবাসিক এলাকা এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল একটি বিশাল উন্মুক্ত চত্বরে পরিণত হবে।'

গবেষক ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি শামীম আমিনুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর সম্প্রসারণ করতে প্রয়োজন ছিল জায়গা, যা রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেরা জায়গা দান করার আগ্রহ প্রকাশ করায় শহীদ মিনারের সম্প্রসারণের কাজটি সহজ হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষও এক্ষেত্রে উদারতার পরিচয় দেবে বলে আশা করছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শহীদ মিনারের বর্তমান চাতাল থেকে উত্তর দিকে শেখ রাসেল টাওয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে প্রস্তাবিত উন্মুক্ত চত্বরটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের উত্তর দিকে রয়েছে একটি ছোট পুকুর। যেটি আগে বড় ছিল। নানা সময়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে। মহাপরিকল্পনায় পুকুরটি সম্প্রসারণ এবং চত্বরের অংশে পরিণত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। চত্বর সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব দিকে থাকবে পুকুর। চত্বরের পশ্চিম দিকে বর্তমান শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায় নির্মিত হবে নতুন চাতাল।

প্রস্তাবিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কের নকশায় পরিবর্তন আসবে। রাসেল টাওয়ার, শিববাড়ী মন্দির, বাংলা একাডেমির পাশ দিয়ে নব্বই দশক পর্যন্ত একটি সংযোগ সড়ক ছিল। এই সড়কটিকে পুনর্জ্জীবিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। উন্মুক্ত চত্বরের উত্তর পাশে থাকবে সড়কটি। নতুন ডিজাইনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার মধ্যবর্তী সড়কটি এবং শহীদ মিনারের পূর্ব দিকের সড়কটি পরিণত চত্বরের অংশে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এখানে সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

নতুন পরিকল্পনায় শহীদ মিনারে প্রবেশের জন্য পশ্চিম-দক্ষিণ দিকে ও প্রস্থানের জন্য পূর্ব-দক্ষিণ দিকে পথ তৈরির কথা বলা হয়েছে। তবে প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য শহীদ মিনারের পেছনে ও দুপাশে প্রস্তাবিত পথের জায়গা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধীন। বিষয়টি সমাধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের মধ্যে বর্তমানে আলোচনা চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে আরো জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাস্টার প্ল্যানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সংলগ্ন জায়গাগুলো উন্মুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হুদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শহীদ মিনার নিয়ে তাদের নিজস্ব কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে শহীদ মিনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা দেবে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর মাস্টারপ্ল্যান উপস্থাপন করে। মাস্টার প্ল্যান উপস্থাপনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের মধ্যে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দেন।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পরিসর বাড়ানোর লক্ষ্যে এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের মধ্যে তিনটি আনুষ্ঠানিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা হয়েছে।

তবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরের সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শহীদ মিনারে মানুষ আসে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। মানুষ আসে আবেগ থেকে, কোনো কাজ করতে নয়। শহীদ মিনার চত্বর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ভাবগাম্বীর্য পরিবেশ বজায় রাখা দরকার। সরকারি প্রকল্পগুলোতে দেখা যায় বিভিন্ন ভবন নির্মাণের প্রবণতা। শহীদ মিনার সম্প্রসারণ প্রকল্পে ভবন নির্মাণ প্রবণতা পরিহার করা খুবই দরকার।'

তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মিউজিয়াম, লাইব্রেরি এসব প্রতিষ্ঠা হলে জায়গাটি একটি কাজের জায়গায় পরিণত হবে। শহীদ মিনারকে কাজের জায়গায় পরিণত করা ঠিক হবে না। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরের সম্প্রসারণের কাজটি উন্মুক্ত চত্বর প্রতিষ্ঠার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।'

Comments