মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

কক্সবাজারের ৬৩,১৯৩ জেলে পাচ্ছেন ৫৬ কেজি করে চাল

বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় কক্সবাজার জেলার নিবন্ধিত ৬৩ হাজার ১৯৩ জন জেলের প্রত্যেককে ২ কিস্তিতে ৫৬ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার।
কক্সবাজার
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় কক্সবাজার জেলার নিবন্ধিত ৬৩ হাজার ১৯৩ জন জেলের প্রত্যেককে ২ কিস্তিতে ৫৬ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার।

জেলেরা প্রথম কিস্তিতে ৪০ কেজি এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ১৬ কেজি করে চাল পাবেন। প্রথম কিস্তির চাল বিতরণ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম।   

সরকার বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ওই ৬৫ দিন জেলেরা কাজ পান না বলে ওই সময় মৎস্য বিভাগের নিবন্ধিত পেশাদার জেলেদের খাদ্য সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। এই কর্মসূচির আওতায় কক্সবাজার জেলায় উপকারভোগী জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ১৯৩ জন।   

কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইতোমধ্যে এই ভিজিএফ কর্মসূচির জন্য মোট ৩ হাজার ৫৩৮ দশমিক ৮০৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব চাল জেলার ৮ উপজেলার নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে ১০ জুনের মধ্যে প্রথম কিস্তির চাল বিতরণ সম্পন্ন করার। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের আগেই বিতরণ সম্পন্ন হবে।'

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়সার খসরু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে যাচাই বাছাই করে নিবন্ধিত জেলেদের চাল বিতরণ করা শুরু করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে এ চাল বিতরণ করা হচ্ছে।'

কক্সবাজার জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, জেলায় নিবন্ধিত জেলেদের কক্সবাজার সদর উপজেলার ৯ হাজার ৬২২ জন, চকরিয়ার ৫ হাজার ৮৫৭ জন, পেকুয়ার ৪ হাজার ৯৬৭ জন, মহেশখালীর ১৪ হাজার ৪৪২ জন, টেকনাফের ১০ হাজার ৬৮৩ জন, উখিয়ার ৩ হাজার ৮৯২ জন, রামুর ২ হাজার ৭৭৩ জন ও কুতুবদিয়ার ১০ হাজার ৯৫৯ জন আছেন।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিবন্ধিত জেলেদের প্রত্যেকেই একই কর্মসূচির আওতায় দ্বিতীয় কিস্তিতে আরও ১৬ কেজি করে চাল পাবেন। দ্বিতীয় দফা চাল বরাদ্দ পাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

Comments