ভেজাল মদ তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে ছাত্রলীগের ৩ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৯
ফরিদপুরে একটি ভেজাল মদের কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। কারখানাটিতে বিদেশি মদের বোতলে ভেজাল মদ ভরা হতো। এই কারখানার ভেজাল মদ তৈরি ও বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের ৩ নেতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভেজাল মদের কারবারিদের গ্রেপ্তার করে। এদের কাছ থেকে বিদেশি ব্র্যান্ডের ৫২ বোতল মদ, ৩০টি খালি বোতল এবং বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল জব্দ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
গ্রেপ্তার ৩ ছাত্রলীগ নেতা হলেন, ফরিদপুর শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শুভ সরকার, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি মো. আশিক ফকির এবং একই ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনিক হোসেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানজিদ রশিদ চৌধুরী।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকার মো. তানভীর, একই মহল্লার মহিউদ্দিন ওরফে জুয়েল, শফিকুল ইসলাম, শহরের দক্ষিণ আলীপুর মহল্লার ওবায়দুর শেখ। গ্রেপ্তার হওয়া বাকি ২ জন ১৭ বছরের কিশোর।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে আলীপুর সাজেদা কবির উদ্দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ১৭ বছরের দুই কিশোরকে ৩ বোতল মদসহ গ্রেপ্তার করে। এই কিশোরদের কাছে চাঁদা দাবিকারী মো. অনিক হোসেন, মো. আশিক ফকির ও ওবায়দুর শেখকেও সেখানে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুভ সরকার, মো. তানভির, মহিউদ্দিন ও শরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মহিউদ্দিন শেখ রঘুনন্দনপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বিদেশি বোতলে ভেজাল মদ ভরতেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের ডোপ টেস্ট করে অনিক, আশিক, ওবায়দুর, শুভ ও তানভিরকে পজিটিভ পাওয়া গেছে।
গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কর্মকার জানান, এ ব্যাপারে গত বুধবার রাতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
মহিউদ্দিন, শরিফুল ও তানভিরের ৫ দিন রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামিদের আদলতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Comments