কিশোর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও, সংঘর্ষে আহত ৩ পুলিশ সদস্য
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে কিশোর হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সিংগাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহরাইল গ্রামে আজ শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রাজুর (১৪) সঙ্গে একই গ্রামের কোরাইশির ছেলে আলিফের (১৬) পূর্ব বিরোধ ছিল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলিফের সঙ্গে সাইকেলে করে পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলায় যায় রাজু। তারপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতে কোথাও খুঁজে না পেয়ে আলিফকে সঙ্গে নিয়ে রাজুর খোঁজে বের হয় পরিবার।
পরে রাত ৯টার দিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরু মিয়া বাড়ি যাওয়ার পথে শোল্লা ইউনিয়নের রুপারচর এলাকায় কালীগঙ্গা নদীর পাশ থেকে গোঙানির শব্দ শুনে রাজুকে উদ্ধার করা হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজুকে প্রথমে সাহরাইল ইব্রাহিম মেমোরিয়াল মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় পরে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে রাজুর মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, রাজুর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্বজন এবং এলাকাবাসী আজ সকাল ১০টার দিকে আলিফের বাড়ি ঘেরাও করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে আলিফকে উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
এই ঘটনায় আলিফসহ তার পরিবারের তিন সদস্যকে উদ্ধার করে সিংগাইর থানায় নেওয়া হয়েছে।
তবে, কী কারণে রাজুকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। পুলিশ বলছে, পাবজি গেইম খেলাকে কেন্দ্র করে রাজুর সঙ্গে আলিফের বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, 'সকালে আলিফের বাড়ি ঘেরাওয়ের খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। আলিফকে উদ্ধারকালে উত্তেজিত জনতার সঙ্গে তাদের সংঘাত বেঁধে যায়। এতে আমাদের ৩ জন সদস্য আহত হয়। দুপুরে আলিফসহ তার পরিবারের ৩ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।'
Comments