অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, প্রশ্ন হাইকোর্টের
অর্থ পাচারকারী হিসেবে পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার আদালতের পক্ষ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে পৃথক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে হাইকোর্ট সিআইডি ও বিএফআইইউ-এর প্রতিবেদনে এই ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছে যে, তারা অর্থ পাচার প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কেন তারা দুর্নীতি দমন কমিশনকে অর্থ পাচারকারীদের সম্পর্কে তথ্য ও নথি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে সম্পত্তি ক্রয়কারী বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে জারি করা দুটি পৃথক রুলের শুনানির সময় এই নির্দেশনা দেন।
এর মধ্যে একটি রুল জারি করা হয় গত বছরের ২২ নভেম্বর। দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো, জনকণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় দণ্ডিত বাংলাদেশি নাগরিকদের পাচারের টাকা দিয়ে বিদেশে বিলাসবহুল সম্পত্তি কেনার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর।
আরেকটি রুল জারি করা হয় চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি, আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাসের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এ ছাড়া, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
Comments