বায়ু দূষণে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট দোষী সাব্যস্ত
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বায়ু দূষণের জন্য প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ও অন্যান্য মন্ত্রীদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত।
রয়টার্স জানায়, আইকিউ এয়ারের '২০২০ ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি' প্রতিবেদনে বাতাসে মানবদেহের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর উপাদান পিএম ২.৫ এর উপস্থিতির দিক থেকে জাকার্তার অবস্থান ছিল নবম। সবচেয়ে দূষিত বাতাসের রাজধানী ছিল নয়া দিল্লি এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঢাকা।
রয়টার্স জানায়, আজ বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের করা মামলার শুনানিতে আদালত বায়ু দূষণ কমাতে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১৯ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট, স্বাস্থ্য মন্ত্রী, পরিবেশ মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতনদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কয়েকজন নাগরিক।
মামলায় ৩২ জন বাদী বলেন, এই মামলাটি ৩ কোটিরও বেশি লোকের বাসস্থান জাকার্তা এবং এর আশেপাশে মারাত্মক বায়ু দূষণ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করার শেষ চেষ্টা।
তারা জানান, কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যর্থ। তারা পরিবেশ নিয়ে অবহেলা করেছে, বৈজ্ঞানিক গবেষণা আমলে নিচ্ছে না।
আজকের রায়ে সেন্ট্রাল জাকার্তা ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারকরা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করেছেন। নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেশের বাতাসের মান উন্নত করতে সরকার বাধ্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও জাকার্তার গভর্নরকে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের কৌশল প্রণয়ন করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
মামলায় নাগরিকদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী আয়ু ইজা টিয়ারা রয়টার্সকে বলেন, 'যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে তাদের অবহেলা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা এই রায়ের প্রশংসা করি। আমরা সন্তুষ্ট।'
এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ফাদরোয়েল রহমান জানান, পরিবেশমন্ত্রী এ বিষয়ে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত নেবেন।
জাকার্তার গভর্নর অ্যানিস বাসবেদন এক টুইটে জানান, তার প্রশাসন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না। রাজধানীতে বাতাসের মান উন্নয়নের জন্য আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে তাদের প্রশাসন প্রস্তুত।
সেন্টার অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) মতে, জাকার্তায় দ্রুত নগরায়ন, দীর্ঘস্থায়ী যানজট এবং কাছাকাছি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কারণে দিন দিন রাজধানীর বাতাসের মান খারাপ হচ্ছে।
Comments