তালেবান দখলকৃত কান্দাহারে ৩৩ জনকে হত্যা
আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে তালেবানের দখল করা এলাকায় অন্তত ৩৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগানিস্তান ইন্ডিপেনডেন্ট হিউম্যান রাইটস কমিশন (এআইএইচআরসি)। গত দুই সপ্তাহে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল শনিবার আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
এআইএইচআরসি'র মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ ফারহাং গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'নিহতদের মধ্যে ধর্মীয় আলেম, গোত্রপতি, সাংবাদিক, মানবাধিকার-কর্মী ও সুশীল সমাজের সদস্যরা আছেন।'
দেশটির হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের প্রধান লালা গুল লালা বলেন, 'যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, যুদ্ধের আইন মতে তারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন।'
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কান্দাহার প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলে শত শত মানুষকে বন্দি করা হয়েছে। আফগান সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা করার অভিযোগে আটককৃত ব্যক্তিদের কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদন মতে, নিহতদের মধ্যে প্রাদেশিক সরকারের কর্মকর্তাদের আত্মীয় ও আফগান পুলিশ (এএনপি) ও আফগান সেনাবাহিনীর (এএনএ) সদস্যরা আছেন।
প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে এইচআরডব্লিউ আরও জানিয়েছে, গত ৮ জুলাই পাকিস্তানের সঙ্গে কান্দাহারের স্পিন বলদাক সীমান্ত ক্রসিং দখলে নেওয়ার পর গত ১৬ জুলাই স্পিন বলদাক জেলাও দখল নেয় তালেবান। সেসময় তারা সেখানে স্থানীয় সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগীদের চিহ্নিত করতে তল্লাশি চালায়।
স্থানীয় এক মানবাধিকার কর্মীর বরাত দিয়ে এইচআরডব্লিউ বলেছে, তালেবানরা কান্দাহারের পুলিশ এবং আফগান জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর (এএনডিএসএফ) সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে তাদের নিবন্ধনের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরপর তালেবানরা নিবন্ধিত কয়েকজন এএনডিএসএফ সদস্যকে হত্যা করে।
গত বৃহস্পতিবার সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বলদাক জেলায় বন্দুকধারীরা গুলি করে '১০০ জনের বেশি' বেসামরিক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনা নিশ্চিত করে বলেছে, কোনো কারণ ছাড়াই বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা করা হয়েছে। দেশটির সরকার এই হত্যাকাণ্ডের জন্যে তালেবানদের দায়ী করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে তালেবান বলেছে, তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
Comments