বিতর্ক আমার জীবনের অবিচ্ছেদ অংশ: আসিফ আকবর
কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর বাংলা সংগীতের উজ্জ্বল নাম। গত ২৫ মার্চ ৫০ বছর ছুঁয়ে গেলেন তিনি। ২০০১ সালে 'ও প্রিয়া তুমি কোথায়' গানের মাধ্যমে দেশের অগণিত মানুষের মন জয় করেছিলেন তিনি। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
তার কণ্ঠের উল্লেখযোগ্য গানের তালিকায় রয়েছে 'একাকী গভীর রাতে', 'সাবাস বাংলাদেশ', 'কাল সারারাত', 'এখনো মাঝে মাঝে', 'তুমি অপরূপা', 'বাঁচবো না', 'ও পাষাণী', 'সবুজের বুকে লাল'সহ অনেক গান।
২১ বছরের সংগীত জীবন, আত্মজীবনী 'আকবর ফিফটি নট আউট'সহ অনেক কথা ভাগাভাগি করেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।
জীবনের এই পর্যায়ে এসে পিছনে ফিরে কী মনে হয়?
আমি আসলে কখনো পিছন ফিরে দেখি না। সবসময় সামনে তাকিয়ে চলেছি। ছোটবেলা থেকে আমার অভ্যাস—সামনের দিকে দৃষ্টি রেখে সোজা পথচলা। আমার জীবনের ক্ষেত্রেও তাই।
২১ বছরের সংগীত জীবন নিয়ে কিছু বলেন।
সংগীত ইন্ডাস্ট্রিতে যে প্রাপ্তি এসেছে সেটি আমার পরিশ্রমের ফসল। এই ইন্ডাস্ট্রি কীভাবে চলে সেটি সবার জানা। এখানে প্রযোজক, গীতিকার, সুরকার, শিল্পীর টাকা তুলে আনতে কত যে কষ্ট হয় তা তারাই ভালো বোঝেন। আমি মনে করি, তারপরেও আমাদের বিকল্প পথ খুঁজে নিতে হবে। আমি কোনো সিস্টেমের সঙ্গে চলি না। নিয়ম বদলে পথ চলেছি।
দীর্ঘদিন ধরে সংগীতে নিজের আসন কীভাবে ধরে রাখলেন?
কাজ দিয়েই টিকে আছি। কাজের মধ্য দিয়েই নিজের আসন ধরে রেখেছি। বাংলাদেশের অডিও প্রযোজকদের সঙ্গে সব কণ্ঠশিল্পীর সম্পর্ক খারাপ। কিন্তু আমার সঙ্গে কারো খারাপ সম্পর্ক নেই। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা যদি গণ্ডগোল করি তাহলে তৃতীয় পক্ষ আবার আসবে, যারা আমাদের টাকা নিয়ে চলে গেছে। সে কারণে সবকিছু মানিয়ে চলার চেষ্টা করি।
কাছের মানুষদের দ্বারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
মানুষের চলার পথে ভুল বোঝাবুঝি হয়। কিন্তু এটি যখন মামলাতে চলে যায় তখন শত্রুতাটা ওপেন হয়ে যায়। আর আমার জন্য যে মামলা হয়েছে সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। সত্যি বলতে কী, অনেক কিছু নিয়ে সরব থাকি। সেখানে কিছু বিতর্ক থাকবেই। আর বিতর্ক আমার জীবনের অবিচ্ছেদ অংশ। এটা আমি পছন্দ করি। বিতর্ক না হলে তো কোনো কিছু আলোচনায় আসবে না।
গানের বাইরে আপনার আত্মজীবনী 'আকবর ফিফটি নট আউট' আগামী কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। আত্মজীবনীতে মানুষ জীবনের অনেক কিছু কাটাছেঁড়া করেন। আপনি কী সেটা করছেন? নাকি সবকিছু থাকছে আপনার জীবনের?
আমার জীবনের কোনো কিছুই এখানে গোপন থাকবে না। সব কিছুই থাকছে আমার আত্মজীবনী জুড়ে। কোনো কিছুই আড়াল করিনি। এই বইয়ের লেখক সোহেল অটল অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের কুমিল্লার বাসায় বয়স্ক একজন কাজ করতেন, তার কথাও আছে এখানে। আমার বাবার কথা, আমার সংগ্রামসহ আমার জীবনে মদ খাওয়া, মাফিয়া, নারী, প্রেম, অন্য প্রেম—জীবনের সবকিছু এখানে থাকছে।
Comments