যশোরে বৃষ্টিতে ২৩ হাজার ৮২২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত
যশোরে টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ২৩ হাজার ৮২২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আশঙ্কা কৃষি বিভাগের।
ফসলের ক্ষতি ছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। শহরের নিম্নাঞ্চলে বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। জেলায় সর্বোচ্চ ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
যশোর কৃষি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪ হাজার ১৬৮ হেক্টর রোপা আমন, ২৫৩ হেক্টর জমির বোরো বীজতলা, ২৫৬ হেক্টর জমির আলু, ২০৬ হেক্টর জমির গম, ২১৬ হেক্টর জমির পেঁয়াজ, ৪ হাজার ১৬৩ হেক্টর জমির মসুর ডাল, ৯ হাজার ৯১০ হেক্টর জমির সরিষা ও ৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মাঠের পর মাঠ কেটে রাখা রোপা আমন ধান পানিতে ভাসছে। রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। পানিতে ভেসে থাকা ধান পুরোপুরি ঘরে তোলা যাবে না বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন চাষিরা।
ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সদর উপজেলায় ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ক্ষতির সঠিক পরিমাণ ২/৩ দিন পর জানা যাবে।'
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাঠে কেটে রাখা আমন ধানের হয়তো তেমন ক্ষতি হবে না। তবে, বিচালিতে কৃষকের হেক্টর প্রতি ১০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হবে। অনেক ক্ষতি হবে সরিষা ও মসুরের। পানি জমে থাকলে সবজিতেও মারাত্মক ক্ষতি হবে।'
এই বৃষ্টিকে কৃষিতে বড় ধাক্কা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন 'বৃষ্টি ১৫ থেকে ২০ দিন পরে হলে ফসলের জন্য উপকার হতো।'
এ ছাড়াও, চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন। যেসব পরীক্ষার্থী ও অভিভাবককে দূর থেকে কেন্দ্রে যেতে হয়েছে তাদের অধিকাংশকেই বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে। রাস্তায় পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় অনেক পরীক্ষার্থী সঠিক সময়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে পারেননি।
Comments