৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাবির হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবি শিক্ষার্থীদের

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী (রাবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা। দেড় ঘণ্টার এই কর্মসূচি শেষে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল খুলে দিতে হবে এবং এই ঘোষণা ২৩ সেপ্টেম্বরের আগে হতে হবে, ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে সামাজিক ও ছাত্র সংগঠনগুলোকে হেল্প ডেস্ক বসানোর অনুমতি দিতে হবে।

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রিদম শাহরিয়ার বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধ রেখে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা রাজশাহী আসতে শুরু করেছে। মেস নিয়ে প্রতিনিয়ত তারা হয়রানির শিকার হচ্ছে। দুজনের রুমে ৪ জন থেকে অনেকে চলমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নিয়ে কোনো চিন্তাই করছে না।'

তিনি আরও বলেন, 'সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। হল খোলা না হলে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের থাকা খাওয়া নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হবে।'

২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত না নিলে লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিক্ষোভকারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহব্বত হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। 

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, 'আবাসিক হল খুলতে ন্যূনতম ৭০-৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনতে হবে। তবে, আমরা দেখেছি আমাদের ৫০ শতাংশেরও কম শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছে। আমরা আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেখব, এর মধ্যেই যদি বাকি শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা যায়- তাহলে খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।'

এছাড়া আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান উপাচার্য।