অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালায় পরিবর্তন আনলো বুয়েট
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে অনলাইনে স্নাতক টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার নীতিমালায় সংশোধন এনেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃপক্ষ। গত ৩ আগস্ট ৪৬৯তম জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষা ১০ দিন পেছানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে অনলাইনে স্নাতক টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার নীতিমালায় সংশোধন এনেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃপক্ষ। গত ৩ আগস্ট ৪৬৯তম জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষা ১০ দিন পেছানো হয়েছে।
পরীক্ষা নীতিমালায়ও বেশকিছু পরিবর্তন এনে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বুয়েট। সংশোধিত নীতিমালায় অনলাইন পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা থেকে ৩০ মিনিট বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়েছে এবং উত্তরপত্র সাবমিশনের সময় ১৫ মিনিট থেকে বাড়িয়ে ৩০ মিনিট করা হয়েছে।
এছাড়াও, টার্ম ফাইনাল চলাকালীন কোনো শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের কেউ কোভিডে আক্রান্ত হলে পরীক্ষা মুলতবির কথাও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মুলতবি পরীক্ষার নীতিমালায় বলা হয়েছে, টার্ম ফাইনাল চলাকালীন কোনো শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের কেউ কোভিডে আক্রান্ত হলে পরীক্ষা মুলতবির জন্য আবেদন করা যাবে। তবে একজন পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ তিনটি কোর্সের জন্য পরীক্ষা মুলতবির আবেদন করতে পারবেন। বিঘ্নিত পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখের পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে অ্যাডভাইজারের এবং বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর মুলতবি পরীক্ষার আবেদন করতে হবে। মুলতবি পরীক্ষার আবেদনের সঙ্গে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট বা অন্যান্য চিকিৎসা বিষয়ক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। চিফ মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে বুয়েট কর্তৃপক্ষ সেগুলো যাচাই করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিঘ্নিত পরীক্ষার সংখ্যা তিনটির অধিক হলে প্রয়োজনে টার্ম প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া হবে। কোনো পরিক্ষার্থী বিশেষ পরিস্থিতিতে টার্ম প্রত্যাহার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রেও তিনি চাইলে সর্বোচ্চ তিনটি কোর্স মুলতবি পরীক্ষার জন্য আবেদন করে অংশ নিতে পারবেন যা ক্যারি ওভার হিসেবে গণ্য হবে এবং বাকি কোর্সগুলো বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তীতে সম্পন্ন করবেন।
চলতি টার্মের গ্রেড বিতরণের আগেই মুলতবি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে, সংশোধিত নীতিমালায়ও পরীক্ষা চলাকালীন দুটি ডিভাইস ব্যবহারের নিয়ম আগের মতোই রাখা হয়েছে। তবে পরীক্ষায় ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থীদের ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোনের সুবিধা দেবে বলে জানিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এ সংক্রান্ত আলাদা একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যে সকল শিক্ষার্থীর পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত ডিভাইস প্রয়োজন তাদেরকে স্ব স্ব হল থেকে বিনা সুদে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন প্রাপ্তির সুবিধার জন্য প্রভোস্ট বরাবর আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হলো।
গত সোমবার বুয়েটের অনলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। শিক্ষার্থীরা লোডশেডিং, ইন্টারনেটের সমস্যা, দুটি ডিভাইস পরিচালনা সংক্রান্ত অসুবিধার কথা তুলে ধরে। শিক্ষার্থীরা সেসময় দুই ঘণ্টায় ছয়টি প্রশ্নের উত্তর লেখা এবং উত্তরপত্র সাবমিশনের জন্য ১৫ মিনিটের সময় বরাদ্দ নিয়ে অভিযোগ করেন। এছাড়া পরীক্ষা নীতিমালায় কোনো শিক্ষার্থী কোভিডে আক্রান্ত হলে কী হবে সে বিষয়ে উল্লেখ না থাকার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারের রিপোর্টে উঠে আসে।
সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে। 
Comments