দাঁত থাকতে যত্ন নিন

ব্যথা-বেদনা সবসময়ই কষ্টকর। তবে দাঁতের ব্যথা সহ্য করা যেন একটু বেশিই কষ্ট।

ব্যথা-বেদনা সবসময়ই কষ্টকর। তবে দাঁতের ব্যথা সহ্য করা যেন একটু বেশিই কষ্ট।

অল্প বয়সীরা প্রায়ই বলেন, দুবেলা দাঁত মাজার সময় তাদের থাকে না। দেখা যায় মাউথওয়াশ ব্যবহারেই তারা সুখী থাকেন। নিয়মিত ব্রাশ না করায় দাঁতে পাথর জমা বা গাম তৈরি হওয়ার মূল কারণ।

আরও একটি বিষয় জাঙ্ক ফুড খাওয়া ও কোল্ড ড্রিংক পান করা। নিয়মিত কোল্ড ড্রিংক দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে থাকে। স্টিকি ফুড বা জাঙ্ক ফুড খেলে ক্যাভিটির আশঙ্কাও বাড়ে বহুগুণে।

দাঁতের রঙের তুলনায় দু-তিন শেড সাদা রঙ পেতে অনেকেই আজকাল ব্লিচিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। যারা নিয়মিত ধূমপান করেন বা প্রচুর চা-কফি, পান-মসলা খান, তাদের দাঁতে অনেক সময় ছোপ পড়ে যায়।

একবার ডাক্তারের কাছে দাঁত ঝকঝক করালেই যে তা সবসময় থাকবে, তা নয়। ছয় মাস থেকে এক বছর এর প্রভাব থাকে। এরপর আবার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

ছোটদের ক্ষেত্রে দাঁতের প্রতি যত্নবান হতে শেখানো প্রয়োজন। নিয়মিত দুবেলা ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে ছোটবেলা থেকেই। প্রয়োজনে প্রতিবেলা খাবার খাওয়ার পর কুলি করে নিন। এতে মুখে আটকে থাকা খাবার সরে যায়।

বয়স চল্লিশের ওপর পৌঁছে গেলে দাঁতের একটু বেশি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এর আগ পর্যন্ত কোনো মাড়ির অসুখ না থাকলে সেভাবে এনামেল ক্ষয় হয় না। তবে ৪০-৪৫ বছরের পর এনামেল ক্ষয় দ্রুত হয় বলে দাঁতের সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। এর থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে সেনসেটিভ টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। দিনে দুবার ব্রাশ করবেন অবশ্যই। তার মধ্যে একবার সেনসেটিভ টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করে নিন।

অনেকের ধারণা, টুথপেস্ট বদলে ফেললে হয়তো দাঁতের ক্ষতি হয়। এ ধারণা ঠিক নয়, প্রয়োজনে আপনি টুথপেস্ট বদলে ফেলতে পারেন। শুধু দেখে নেবেন যেন আপনার টুথপেস্টে ফ্লুরাইডের মাত্রা সঠিক থাকে।

অনেকের দাঁতের রং অনেক সময় হলদেটে পড়ে যায়। এর কারণ দাঁতের সাদা রঙের জন্য যে এনামেল দায়ী, তার ক্ষয় হতে থাকা।

তবে সবার ক্ষেত্রে দাঁতের সমস্যা এক হবে এমন নয়। দাঁত ও চোয়ালের সেটিংয়ের ওপরও নির্ভর করে এনামেলের ক্ষয় কতটা হবে বা আদৌ হবে কি না। ঠিক এই কারণে অনেকের খুব কম বয়স থেকেই দাঁতের ক্ষয় হয়। অনেকের আবার বৃদ্ধ বয়সেও হয় না।

আমাদের অনেকের ধারণা, যত জোরে ব্রাশ করা যাবে দাঁত তত বেশি পরিষ্কার হবে বেশি। কিন্তু জেনে রাখুন, দুমিনিট সাধারণভাবে ব্রাশ করলেই হবে। বেশি জোর দিয়ে ব্রাশ করলে অনেক সময় দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল ক্ষয় হয়ে যায়। যে স্থানগুলো সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। আর ক্যাভিটিও সহজেই জায়গা করে নেয়।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাড়ির একটি ইনফেকশন খুব বেশি দেখা যায়, সেটি হলো পাইরিয়া। একে ডাক্তারি পরিভাষায় বলে জিঞ্জিভাইটিস। দাঁতে টার্টার জমে গিয়ে মাড়ি শিথিল হয়ে যায়। টার্টার দূর করলে দাঁত একটু নড়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যত্নে মাড়িকে শক্ত করা সম্ভব। জিঞ্জিভাইটিসের সমস্যা দূর করতে স্কেলিং খুব ভালো উপায়।

বাজারে যত মাউথওয়াশ থাকুক না কেন দাঁতের জন্য সবচেয়ে ভালো লবণ ও হালকা গরম পানি মিশিয়ে কুলি করা। নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রাখুন, সুস্থ দাঁতের জন্য সুস্থ জীবনযাত্রা মেনে চলুন।

Comments

The Daily Star  | English

Rooppur Nuclear Power Plant: First unit to start production in Dec

One of the two units of the Rooppur Nuclear Power Plant will be commissioned this December if transmission lines are ready although the deadline for the project’s completion has been extended to 2027.

5h ago