ইবাদত আজ চার-পাঁচ উইকেট পেতে পারত: ডোনাল্ড

শ্রীলঙ্কার যে পাঁচ উইকেট পড়েছে তার তিনটা নিয়েছেন সাকিব, দুটো পেয়েছেন ইবাদত। এখন পর্যন্ত ২৬ ওভার বল করে ৭৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তার।
ebadot hossain
উইকেট পেয়ে ইবাদতের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দিনের দ্বিতীয় বলেই নাইটওয়াচম্যান কাসুন রাজিতার স্টাম্প উড়িয়ে শুরু ইবাদত হোসেনের। প্রথম স্পেলে দারুণ বল করে উইকেট নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করেছেন আরও। পরের ভাগেও বল হাতে কিছুটা সময় তেতে থাকতে দেখা গেছে তাকে। পুরো দিনে আর উইকেটের দেখা না পেলেও এই পেসারের চেষ্টায় মুগ্ধ পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। তারমতে স্কোরকার্ড বুঝাতে পারছে না ইবাদতের ঝাঁজ।

শ্রীলঙ্কার যে পাঁচ উইকেট পড়েছে তার তিনটা নিয়েছেন সাকিব, দুটো পেয়েছেন ইবাদত। এখন পর্যন্ত ২৬ ওভার বল করে ৭৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তার।

সব কিছু পক্ষে থাকলে দ্বিতীয় দিনেই পেতে পারতেন দুই উইকেট। দিমুথ করুনারত্নেকে পরাস্ত করেও রিভিউ না নেওয়ায় ইবাদতকে একবার পুড়তে হয় আক্ষেপে। বুধবার তৃতীয় দিনের সকালে দারুণ গতি তুলেছেন তিনি। ভালো জায়গায় বল ফেলে ব্যাটসম্যানদের হাঁসফাঁস করিয়েছেন।

দিনের খেলা শেষে কথা বলতে এসে ইবাদতের প্রশংসায় মাতলেন ডোনাল্ড,  'ইবাদত আজ অসাধারণ ছিল।  স্কোরবোর্ড বুঝাতে পারছে না সে আজ কেমন বল করেছে। সে চার-পাঁচ উইকেট পেতে পারত। স্পেলটা সেরকমই কার্যকর ছিল।'

'আমি তাকে চা-বিরতির পর কিছু বলকে দিয়ে কথা বলাতে বলেছিলাম, সে সেটা করেছে। সমস্যার কারণ হয়েছে (ব্যাটসম্যানদের)।'

ইবাদত ভাল করলেও খালেদ ছিলেন মলিন। যে পরিকল্পনা করে ফিল্ডিং সাজাচ্ছিলে তার ধারেকাছেও বল করতে পারছিলেন না তিনি। ১৫ ওভার বল করে ৬২ রান দিয়ে তিনি এখনো উইকেটশূন্য। ব্যাটসম্যানরা তার বলে চাপ সরাতে পেরেছেন সহজে। তবে খালেদের উপর এখনো ধৈর্য হারাচ্ছেন না কোচ,  'খালেদ সেরকম কিছু করতে পারেনি। কিন্তু কাল বড় এক দিন। আমাদের সকাল বেলা দ্রুত উইকেট দরকার। পিচও প্রতিদিন সকালে কিছু না কিছু দিচ্ছে।'

'আমি প্রক্রিয়া অনুসরণের ব্যাপারে সতর্ক ও ধৈর্যশীল। খালেদ প্রতিনিয়ত শিখছে।'

দিনের খেলার শুরুতে ওয়ার্মআপে পেসারদের নিয়ে কাজ করতে দেখা যায় ডোনাল্ডকে। তার কাজের সময় উপস্থিত থেকে সাহায্যকারীর ভূমিকায় ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজনও। বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টরকে আর সবার মতো 'চাচা' বলে সম্বোধন করেন ডোনাল্ড। ভাষাগত কোন সমস্যা হলে তার মাধ্যমেই তা মিটে যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকান এই কিংবদন্তি জানান, খুব সরল পথেই পেসারদের তালিম দেন তিনি,  'আমি খুব বেশি বোঝা চাপিয়ে দেই না। আমি একদিনে ১৬টি পরিকল্পনা দেই না। খুব সরল কাজ দেই। নতুন বলে আমাদের প্রক্রিয়া হচ্ছে আউটস্যুং ও ইনস্যুং নিয়ে। কীভাবে লিটনের গ্লাভস খুঁজে নেওয়া যায়, এটাই টেস্ট ম্যাচের প্রক্রিয়া, এভাবেই চাপ বাড়ানো যায়। আমরা বেসিক পরিকল্পনায় থাকতে চাই।'

Comments

The Daily Star  | English
No respite from heat wave for five days: BMD

Heat takes a toll on expecting mothers

The ongoing heatwave has exacerbated the challenges faced by everyone in the country, but the situation has become particularly difficult for expecting mothers.

1h ago