চ্যালেঞ্জিং স্কোরের পথে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঠিক জ্বলে উঠলেন দুই ওপেনার। তাতে অন্তত শুরুতে কোনো ধাক্কা খায়নি বাংলাদেশ। যদিও পাওয়ার প্লে শেষ না হতেই ভেঙেছে জুটি। তবে অপর ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ধরে রেখেছেন এক প্রান্ত। চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার দিকেই দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন এ ওপেনার।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৭২ রান করেছে বাংলাদেশ। নাঈম ৪১ ও মুশফিকুর রহিম ৪ রানে ব্যাট করছেন।
আসর জুড়েই বাংলাদেশের মূল সমস্যা ছিল ওপেনিং জুটি। আগের তিন ম্যাচেই ব্যর্থ ছিলেন ওপেনাররা। ওপেনিং জুটির সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১১। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এদিন ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন নাঈম ও লিটন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার এক বল আগে এ জুটি ভাঙার আগে স্কোরবোর্ডে ৪০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার।
ওপেনিং জুটি ভালো করলেও পাওয়ার প্লেতে সে অর্থে রানের গতি বাড়াতে পারেননি তারা। লঙ্কানদের বিপক্ষে এদিন ৪১ রান এসেছে পাওয়ার প্লেতে। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে এখন পর্যন্ত নিজেদের আসর সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। এর আগে স্কটল্যান্ড ও ওমানের বিপক্ষে ভুগেছিল তারা। সে দুই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে রান আসে যথাক্রমে ২৫ ও ২৯ রান।
তবে পাওয়ার প্লেতে নিজেদের ছাড়িয়ে নিতে না পারলেও এ আসরের সবচেয়ে দ্রুত দলীয় ফিফটি তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এদিন ৬.৩ ওভারে আসে দলীয় হাফসেঞ্চুরি। এর আগে পিএনজির বিপক্ষে ৭ ওভারে পঞ্চাশ স্পর্শ করেছিল টাইগাররা।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দেখে শুনে খেলতে থাকেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি মেরে রানের গতিও সচল রাখার চেষ্টা করেন তারা। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভার ভাঙে ওপেনিং জুটি। লাহিরু কুমারার বলে মিডঅফের উপর দিয়ে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে দাসুন শানাকার হাতে ধরা পড়েন লিটন। আউট হওয়ার পর বোলারের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়।
তিন নম্বরে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন সাকিব আল হাসান। সপ্তম ওভারে দারুণ দুটি বাউন্ডারিও মারেন তিনি। নাইমও মারেন একটি। তাতে রান আসছিল দ্রুত। তবে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব। এর পরের ওভারেই বিদায় নিয়েছেন চামিকা করুনারাত্নের বলে। তার লেগ স্টাম্পে রাখা বলটি পিছিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত জয় পাওয়া দুই ম্যাচের নায়ক। এরপর মুশফিককে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন নাঈম।
Comments