বন্ধ নয়, ই-কমার্সে শৃঙ্খলা আনতে রেগুলেটরি অথরিটি হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধ করতে নয়, সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
tipu_munsi_22sep21.jpg
ছবি: ইউএনবি

ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধ করতে নয়, সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি আরও বলেন, সব প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করতে হবে। সারা বিশ্বে ই-কমার্স চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ব্যবসার সঙ্গে লাখ লাখ মানুষ জড়িত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য পরিচালিত হবে। সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক নারী ই-কমার্সে যুক্ত হয়েছেন। তাই ই-কমার্স বন্ধ করা যাবে না। যারা চিট করেছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় এবং সামনে কীভাবে চলা যায় সেটি বিষয়।

আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায় সাম্প্রতিক সমস্যা বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের দেনা পরিশোধে তাদের কি পরিমাণ সম্পদ আছে, ইভ্যালির সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের সে সম্পদ দিয়ে কতটুকু অ্যাড্রেস করতে পারবে। আগামীতে যেন মানুষ আর প্রতারিত না হয় সেটি দেখা হবে। তাদের (সিইও এবং চেয়ারম্যান) জেলে ভরে রাখলে গ্রাহকরা কিছু পাবে না, আবার কিছু না থাকলে বের করলেও লাভ হবে না। দেশে ২ হাজার ব্যবসায়ী ছিল না, এখন ২ লাখ ব্যবসায়ী হয়েছে। যে সমস্যা হয়েছে, সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। ১০ থেকে ১২ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এ ছাড়া, আলিশা মার্টকেও আমরা নজরদারিতে রেখেছি।

টিপু মুনশি বলেন, ইভ্যালির ৫০০ কোটি টাকার দায় রয়েছে। অর্ধেক গ্রাহক, অর্ধেক ব্যবসায়ীদের। শুনেছি ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকার সম্পদ আছে। তাদের চিন্তা কি সেটা জানার চেষ্টা করা হবে। এগুলো আজকের আলোচনায় এসেছে। ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানের টাকা শোধের এবিলিটিই নেই। তারা প্রচারের জন্য ব্যাপক টাকা বিনিয়োগ করেছে। ক্রিকেট খেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় টাকা নষ্ট করেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের কাজ ব্যবসায়ীদের সহায়তা করা। কিন্তু তারা যে মানুষকে লোভ দেখাচ্ছে সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখবে না। ১০০ টাকার জিনিস তারা ৫০ টাকায় দিতে চায়, সেটা কীভাবে সম্ভব। মানুষ লোভ সংবরণ করতে পারেনি। লোভ সংবরণ করা দরকার।

সরকার টাকার দায় নেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার তো টাকা নেয়নি। যে লোকটা একটি মোটরসাইকেল কিনে লাভ করেছে, পরে আরও ১৭টা অর্ডার করেছে। লাভের ভাগিদার তো সরকার হয়নি। তাদের (ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান) কতটুকু সম্পদ আছে সেটা দেখতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Rooppur Nuclear Power Plant: First unit to start production in Dec

The deadline for completion of the Rooppur Nuclear Power Plant project has been extended to 2027, and a unit of the plant will be commissioned this December if transmission lines are ready.

20m ago