অর্থ পাচারের অভিযোগ দুদক তদন্ত করে হাইকোর্টে রিপোর্ট দেবে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, 'গণমাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম আসবে তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত শেষে উচ্চ আদালতে জমা দেওয়া হবে।'
আজ বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, 'এ বিষয়ে আদালত যে রায় দেবে আমরা তা মেনে নেব।'
তিনি বলেন, পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে যে ৪৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছিল তা দুদক প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে হাইকোর্টে জমা দিয়েছে। আর গতকাল যে ৮ জনের নাম এসেছে তাও হাইকোর্টে পাঠানো হবে। সামগ্রিক বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে। এই পর্যায়ে আমার কোনো মতামত দেওয়া ঠিক হবে না।'
৫০ বছরে দেশের অর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার পর জিডিপি ১০০ বিলিয়ন পার হতে ৩৮ বছর লাগে। আর গত ১২ বছরে তা ৪ গুণ বেড়ে ৪১১ বিলিয়ন পার হয়েছে '
অর্থমন্ত্রী বলেন, '২০৪১ সালে বাংলাদেশ ধনী ২০টি দেশের কাতারে পৌঁছাবে।'
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য (টেবিলে উপস্থাপিত ৪টিসহ) ১৭টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়, যার সবই অনুমোদন হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের ৫টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৪টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২টি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল।
ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদিত ১৭টি প্রস্তাবের মোট অর্থের পরিমাণ ২২ হাজার ১৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪১ হাজার ৫০৪ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ২০ হাজার ২৫৮ কোটি ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৩ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও এডিবি থেকে ঋণ ১ হাজার ৮৯৮ কোটি ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭১ টাকা।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সেতু বিভাগের অধীন ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় যানজট নিরসনে 'ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে' প্রকল্পে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
Comments