মহামারির কারণে কারও সময় নষ্ট হচ্ছে না: পিএসসি চেয়ারম্যান

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেছেন, ‘মহামারির কারণে কারও সময় নষ্ট হচ্ছে না। আমরা হিসাব করে, যথাসময়ে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি, যাতে সবাই আবেদন করতে পারে। পরীক্ষা না নিতে পারলেও যাদের আবেদনের যোগ্যতা আছে তারা এই সময়ে আবেদন করে রেখেছে।’
Sohrab Hossain-1.jpg
মো. সোহরাব হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেছেন, ‘মহামারির কারণে কারও সময় নষ্ট হচ্ছে না। আমরা হিসাব করে, যথাসময়ে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি, যাতে সবাই আবেদন করতে পারে। পরীক্ষা না নিতে পারলেও যাদের আবেদনের যোগ্যতা আছে তারা এই সময়ে আবেদন করে রেখেছে।’

আজ শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি ফোনে এসব কথা বলেন।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি চলছে, এটা নিয়ন্ত্রণ করা এখনো কারও ক্ষমতার মধ্যে নেই উল্লেখ করে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘তবে, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। নিয়োগ পাওয়ার পর গত আট মাসে আমি যতটা সম্ভব নিয়োগের সুপারিশ করেছি। ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি নিয়েছি, ৪২তম স্পেশাল বিসিএসের ভাইভা চলছে। প্রতিদিন ২২০ জনের ভাইভা নেওয়া হচ্ছে। রিস্ক নিয়ে এসব কাজ করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি রাতারাতি ঠিক হয়ে যাবে না। এখন আমরা যদি ডাক্তার, নার্স নিয়োগ না করি, তাহলে চিকিৎসা দেবে কারা। এ নিয়ে নানা সমালোচনা হুমকি-ধমকিও আসছে।’

চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যতগুলো পদ শূন্য ছিল, সবগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হবে।’

এদিকে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেড় বছরের বেশি সময় নষ্ট হওয়ায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর দাবিতে আজ শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে জনসমাবেশ করেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা চাকরিপ্রার্থীরা।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ করার দাবির পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে তারা বলেন, করোনাকালীন অচলাবস্থায় সব বয়সের শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রত্যাশীরা ইতোমধ্যেই দেড় বছর হারিয়ে ফেলেছে। ১৯৯১ সালে শেষবার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ করা হয়, যখন গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। এই ৩০ বছরে গড় আয়ু ১৬ বছর বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ বছর হলেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় বাড়ানো হয়নি।

তারা জানান, ২০১১ সালে এসে অবসরের বয়স বেড়ে হয় ৫৯ বছর আর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য হয় ৬০ বছর। অবসরের মেয়াদ যেহেতু দুই বছর বৃদ্ধি পেয়েছে, সেক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স দুই বছর বাড়ানো হলে সেটা আর সাংঘর্ষিক হয় না।

আরও পড়ুন:

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২ বছর বাড়ানোর দাবি

তারা নেই কারো ভাবনায়, করোনাকালে শেষ হয়ে গেল যাদের চাকরির বয়স

Comments

The Daily Star  | English
IMF calls for smaller budget

IMF suggests raising power, gas and fertiliser prices

The International Monetary Fund yesterday recommended reducing government subsidies by hiking prices of power, gas and fertiliser, and spending the saved money on society safety net programmes.

15h ago