২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়াই টার্গেট: সেব্রিনা ফ্লোরা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দিয়ে ফেলা তাদের টার্গেট। যাদের ২৬ তারিখের মধ্যে টিকার আওতায় আসার কথা, তাদের কারো টিকা নেওয়া বাকি না থাকলে ২৬ তারিখের পর আর টিকা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তবে কেউ বাদ থেকে গেলে বিবেচনা করা হবে।
আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের মেয়র কার্যালয়ে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, 'অনেক দিন ধরে আমরা ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। যার জন্য সব জায়গায় যাচ্ছি। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমাদের গণ প্রচারণা চলবে। সেই ক্যাম্পেইনটা জোরদার করার জন্য নারায়ণগঞ্জের পরিকল্পনাটা দেখা, সবার সঙ্গে আলোচনা করা। মেয়র মহোদয়ের সঙ্গেও আমরা আলোচনা করেছি। কোন জায়গাগুলোতে চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।'
নারায়ণগঞ্জে টিকা কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ অন্যান্য জেলার তুলনায় কিছুটা পেছনে। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সিভিল সার্জন, অন্যান্য উপজেলা পর্যায়েও সবাই কাজ করা শুরু করেছে। গত ২ দিন ধরে এখানে টিকা কার্যক্রম অনেক জোরদার হয়েছে। আমরা আশা করছি, সারা বাংলাদেশে যে রকম টিকা কার্যক্রম হচ্ছে, খুব শিগগির নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতিও সে রকম হবে।'
নারায়ণগঞ্জের জন্য কী কী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন জানতে চাইলে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, 'কোথায় কোথায় এখনও ভ্যাকসিনটা পৌঁছায়নি সেগুলো খুঁজে বের করা এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করার কথা বলেছি। কোনো জেনারেল পরিকল্পনা না করে যেখানে যেমন প্রয়োজন তেমন পরিকল্পনা করার কথা বলেছি আমরা।'
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, '১২ থেকে ১৭ বছরের যত শিশু আছে, যারা মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজে পড়ে অথবা কোথাও পড়ে না, তাদের সবাইকে আমরা টিকার আওতায় আনার জন্য বলেছি। পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। বাচ্চাদের যে ফাইজার টিকা দেওয়া হয়, সেটা সব জায়গায় দেওয়া যায় না। সেটা একটা চ্যালেঞ্জ। তবে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হচ্ছে। এখন স্কুলের বাচ্চাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এবং এসি রুম নির্ধারণ করতে পারলে আমরা টিকা দিতে পারব। অন্যান্য জায়গায় কিন্তু মাদ্রাসায় টিকা দেওয়া হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জেও দেওয়া হবে।'
এ সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) আবুল আমিন, ৩০০ শয্যা হাসপাতালের সুপার আবুল বাশার, নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জান মশিউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ মোস্তফা আলী, ইউনিসেফ প্রতিনিধি ডা. ফারহানা, সেভ দ্য চিলড্রেনের কনসালটেন্ট ডা. নিজাম আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Comments