চালু হয়নি লালমনিরহাটে নির্মিত ভাগাড়, যত্রতত্র পৌরসভার আবর্জনা

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না আসায় এখনো চালু করা হয়নি লালমনিরহাট পৌরসভার শখের বাজার এলাকায় নির্মিত ভাগাড়টি। এ কারণে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে পৌরসভার আবর্জনা। ফলে, দুর্গন্ধে অস্থির স্থানীয়রা।
খালে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার আবর্জনা। ছবি: স্টার

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না আসায় এখনো চালু করা হয়নি লালমনিরহাট পৌরসভার শখের বাজার এলাকায় নির্মিত ভাগাড়টি। এ কারণে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে পৌরসভার আবর্জনা। ফলে, দুর্গন্ধে অস্থির স্থানীয়রা।

খোচাবাড়ি বিডিআর হাট এলাকার আবুল হোসেন (৫৮) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কয়েকদিন ধরে আমার বাড়ির পাশে একটি খালে পৌরসভার আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে বাড়িতে থাকতে পারছি না।'

'পৌর মেয়রকে জানিয়েছি। কিন্তু, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দুর্গন্ধের কারণে আমরা অস্থির হয়ে পড়েছি,' যোগ করেন তিনি।

একই এলাকার মৃণালকান্তি রায় মিলন (৪৬) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আবাসিক এলাকায় একটি খালে পৌরসভার ময়লা ফেলায় দুর্গন্ধে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। টিস্যু অথবা কাপড় দিয়ে নাক চেপে ধরে চলাফেরা করতে হচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে আমাদের সন্তানেরা বাইরে খেলাধুলা করতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, 'পৌর মেয়রকে আমাদের অসুবিধার কথা জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু, আবর্জনা ফেলা এখনো বন্ধ হয়নি।'

শহরের বসুন্ধরা এলাকার মতিউর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পৌরসভার ফেলা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। চলাফেরায় মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। খোলা জায়গায় ময়লা ফেলায় পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।'

শহরের বাহাদুরমোড় এলাকার আফজাল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পৌরসভার ময়লা রাস্তার পাশে ফেলায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে আছি। নাক চেপে ধরে পথ চলতে হয়।'

অনতিবিলম্বে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

শহরের আলোরূপা সড়ক এলাকার মফিয়ার রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাস্তার ধারে পৌরসভার আবর্জনা ফেলায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। নির্মিত ভাগাড়ে আবর্জনা ফেলার দাবি জানাচ্ছি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে।'

লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পৌরসভার ময়লা ফেলার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ আগ্রহী হয়ে জায়গা দিলে সেখানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। নির্মিত ভাগাড়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না আসায় এখনো চালু করা যায়নি। পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। কিন্তু, তারা বিলম্ব করছে।'

'পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আসার সঙ্গে সঙ্গে পৌরসভার আবর্জনা ভাগাড়ে ফেলা হবে,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'আবর্জনা ফেলায় যেসব স্থানে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সেখানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হচ্ছে, যাতে দুর্গন্ধমুক্ত পরিবেশে সবাই চলাফেরা করতে পারেন।'

রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মেজ-বাবুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হেড অফিসে চিঠি পাঠিয়েছি। সেখান থেকে ভাগাড়টি চালুর অনুমোদন আসবে। লালমনিরহাট শহরকে পরিবেশবান্ধব করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাগাড়টি চালু করতে অনুমোদনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Mercury hits 42.7°C in Chuadanga, season's highest

Chuadanga today recorded the highest temperature of this season at 42.7 degree Celsius

21m ago