‘মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে’

এভারকেয়ার হাসপাতালে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

এভারকেয়ার হাসপাতালে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

২৬ দিন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আজ রোববার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন গুলশানের বাসায় ফেরার পর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক সাংবাদিকদের এই কথা জানান।

তিনি বলেন, 'এবারো এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড সুচিকিৎসার জন্য উনাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে বলেছেন। সি নিডস ভেরি গুড কোয়ালিটেটিভ মেডিকেল ট্রিটমেন্ট।'

'এক্ষেত্রে উনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উনি (খালেদা জিয়া) নিজেও আশা করেন যে সত্যিকার অর্থে উনার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। উনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন ‍উনি সুচিকিৎসার পর আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন।'

গুলশানের বাসা 'ফিরোজা'র প্রবেশের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, '২৬দিন পর আজকে তিনি বাসায় ফিরে এসেছেন। তিনি এখন ভালো আছেন।'

অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, 'উনাকে গত ১২ তারিখ হাসপাতালে নেওয়ার পর মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা অনুভব করে উনার আরও বিস্তৃত পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। একটি বিষয় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ রাখতে হবে যে উনি বিভিন্ন রোগে আগে থেকেই আক্রান্ত ছিলেন এবং আছেন।'

'গত চার বছর উনি যখন জেলখানায় ছিলেন সেখানে সত্যিকার অর্থে সুচিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করেনি সরকার। এই অবস্থায় উনার সুচিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। শুধু এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা নয়, দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের মেডিকেল বোর্ড উনাকে দেশের বাইরে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।'

গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, তিনি কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত ২৫ অক্টোবর জানানো হয় যে, খালেদা জিয়ার শরীর থেকে নেওয়া টিস্যুর বায়োপসি করা হয়েছে। এই পরীক্ষার পর তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেন।

Comments