নাহিদের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে নিহত নাহিদ হোসেনের সারা শরীরে মারধরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহত নাহিদ হাসান। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে নিহত নাহিদ হোসেনের সারা শরীরে মারধরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গ সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, নাহিদের সারা শরীরে মারধরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহের মাথার তালু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত অসংখ্য আঘাতের জখম ছিল।

আজ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নাহিদের মরদেহ মর্গ থেকে বের করা হয়। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ কামরাঙ্গীরচরে বাসায় নেওয়া হয়।

নাহিদের বাবা নাদিম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এলাকায় জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আজিমপুর কবরস্থানে নাহিদের মরদেহ দাফন করা হয়। 

গতকাল মঙ্গলবার নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষে আহত নাহিদ রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। 

ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে মরদেহ মর্গে নেওয়া হয়।

নিহত নাহিদ হোসেন এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগনাল এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে ডেলিভারিম্যান হিসেবে চাকরি করতেন।

গতকাল দুপুরের শুভ নামে এক ব্যক্তি আহত অবস্থায় নাহিদকে হাসপাতালে নিয়ে যান। নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সময় আহত অবস্থায় নাহিদ রাস্তায় পড়েছিলেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাহিদের বাবা নাদিম হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, '৩ ছেলের মধ্যে নাহিদ বড় ছিল। গত ৪ বছর ধরে সে ওই প্রতিষ্ঠানে ডেলিভারিম্যানের কাজ করত।'

'সংসারে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন থাকায় নাহিদকে বেশি দূর পর্যন্ত পড়াশোনা করানো যায়নি,' বলেন তিনি।

নাহিদ প্রতিদিন বাসা থেকে হেঁটে কাজে যেতেন বলে জানিয়েছেন তার মা নার্গিস বেগম।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই এলাকায় সংঘর্ষ হচ্ছে খবর শুনে আমরা গতকাল নাহিদকে কাজে যেতে না করেছিলাম। তবুও সে গেলো।'

'সন্ধ্যায় ওদের বাবার ফোনে মেসেজ আসে যে নাহিদকে মেরেছে। কারা মেরেছে জানি না। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করে যেন আইনের আওতায় আনা হয়, তাই চাই,' কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন তিনি।

এদিকে গত সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষের ঘটনায় আজ বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি।

নিউমার্কেট থানার ডিউটি অফিসার উপপুলিশ পরিদর্শক শাহীনুর আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ অন্তত ৬০ জন  আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে ৩ জন ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Comments

The Daily Star  | English

High Temperature Days: Barring miracle, record of 76yrs breaks today

At least 23 days of this month were heatwave days, which equals the record set in 2019 for the entire year.

11h ago