ট্রাকের কেবিনে রান্না, যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশ দ্বার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫ শতাধিক যানবাহন। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরির সংখ্যা কম থাকায় তীব্র হয়েছে যানজট।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) জানিয়েছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। তবে গাড়িচালক ও যাত্রীদের অভিযোগ ১৬টি ফেরির কথা বলা হলেও চলছে এর চেয়ে অনেক কম।
নদী পার হতে না পেরে ট্রাকের ভেতরে বসেই রান্না করছেন চালকরা। বেনাপোল থেকে দৌলতদিয়ায় এসেছেন ট্রাকচালক করিম। তিনি বলেন, দিনের পর দিন আমাদের রাস্তায় থাকতে হয়। ট্রাকেই এখন আমাদের সংসার, ট্রাকেই রান্না-ট্রাকেই ঘুম।
আজ শনিবার দুপুরে কল্যাণপুর বাজার সংলগ্ন একটি ট্রাকের কেবিনে বসে রান্না করতে দেখা যায় এক চালকের সহযোগীকে। তিনি পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, এখানে আশেপাশে কোনো হোটেল নেই। দুদিন ধরে বসে আছি।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক ইনস্পেকটর মিজান রহমান বলেন, বিড়ম্বনা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে অন্য রাস্তা ব্যবহার করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, ব্যক্তিগত গাড়ি ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘাটের সংযোগ সড়কে সারি ধরে দাঁড়িয়ে আছে। দেখা নেই ফেরির।
দুপুরে অ্যাম্বুলেন্সচালক লতিফ মিয়া বলেন, প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু ফেরি আসছে না। আমার অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীর অবস্থাও খুব একটা ভালো না। তাকে নিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে।
ফেরি কম চলছে— রোগীদের এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সবোর্চ্চ সেবা দিতে। পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি উল্টে যাওয়ায় পারাপারে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে।
Comments