এই ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। নোয়াখালীর চৌমুহনীর ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, 'ভাতের প্লেট ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমাকে এই ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। রাজাকার বা পাকিস্তানি বাহিনীরা আসলেও আমরা ভাতের প্লেট ফেলে পালিয়ে যেতাম না। সঙ্গে করে নিয়ে যেতাম।'
হিন্দুদের পূজামণ্ডপ, মন্দির, ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং প্রাণহানির ঘটনার প্রতিবাদে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আজ এসব কথা বলেন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আসাদের ছোট ভাই ডা. নূরুজ্জামান, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান। উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য আক্তার হোসেন, হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন আমাদের দেশের নোয়াখালীর সূর্য সন্তান ওবায়দুল কাদের আঙুল নাড়িয়ে নাড়িয়ে গীত গেয়ে থাকেন। তার গীতের বিষয়বস্তু একই জিনিস। এটা বিএনপি করেছে, জামায়াত করেছে আর তারা পুতপবিত্র। তারা কোনো কিছু করেন নাই। তারা খালি আঙুল নাড়িছে ও বই দেখে দেখে বক্তৃতা দিয়েছে। কিন্তু ওবায়দুল কাদেরের একবারও নোয়াখালী ঘুরে আসার কথা মনে হয় নাই। তার মনে হয়নি হিন্দু-মুসলমান সব তো আল্লাহর সৃষ্টি। তাদের অবস্থাটা দেখে আসি। তিনি যাননি। গেলে দেখতেন তাদের আমলে কত বড় ইসলাম বহির্ভূত কাজ হয়েছে। ইসলামে কোথাও বলা হয়নি অন্য ধর্মের উপর হস্তক্ষেপ করো।
তিনি বলেন, কুমিল্লায় প্রথম দিন যে ঘটনা ঘটল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নৈতিক দায়িত্ব ছিল ওবায়দুল কাদের সাহেবের সেখানে যাওয়া।
Comments