বগুড়ায় ‘চাঁদা’ আদায়ের অভিযোগে ২ ডিবি কর্মকর্তাকে বদলি
স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে 'চাঁদা' আদায়ের অভিযোগে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দুই কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- বগুড়া ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর ইমরান মাহমুদ তুহিন এবং সাব-ইন্সপেক্টর শওকত আলম।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন) আলী হায়দার চৌধুরী বদলির বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'আজ তাদের রাজশাহী রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) স্থানান্তর করা হয়েছে।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকতা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
আলী হায়দার চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ১৩ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। এরপর এসপি স্যার এক সপ্তাহ আগে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।'
অভিযোগ অনুযায়ী, '২৯.০৫.২১ তারিখে ইন্সপেক্টর তুহিন এবং সাব-ইন্সপেক্টর শওকত আলম আল-আমিন কমপ্লেক্সে (স্থানীয় বাজার) গিয়ে একটি বিড়ি কারখানার মালিকের অফিসে (মাস্টার বিরি কারখানা) তল্লাশি চালায়। সেখানে তারা কিছু না পেয়ে মালিক হেলালউদ্দিনকে হুমকি দেয়- নকল ব্র্যান্ড রাখার দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে। পরে, দুজনে চাঁদা হিসেবে নয় লাখ টাকা দাবি করে।'
তাদের ভয়ে বিড়ি কারখানার মালিক হেলালউদ্দিন নয় লাখ টাকা দেন।
অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে আলী হায়দার বলেন, 'টাকা নেওয়ার পর তারা হেলালউদ্দিনকে বগুড়া পুলিশ সুপারকে বিষয়টি না জানানোর হুমকিও দেন।'
তদন্ত কমিটির প্রধান আলী হায়দার আরও বলেন, আমরা তদন্ত করছি, শিগগির পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করব।
অভিযুক্ত ইন্সপেক্টর ইমরান মাহমুদ তুহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।'
তুহিন দাবি করেছেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ বলেন, 'পুলিশের কোনো সদস্য যদি অপরাধ করে, তাহলে সেটি তার ব্যক্তিগত অপরাধ। পুলিশ বিভাগ মোটেও এর দায় নেবে না।'
Comments