পচা চাল মজুদ: রৌমারী খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম বরখাস্ত
সরকারি খাদ্যগুদামে মানসম্পন্ন চালের পরিবর্তে ঘুষের বিনিময়ে পচা চাল মজুদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মোর্শেদ আলমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও জানান, রৌমারী উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলমের অনিয়ম ধরা পড়ায় তাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং রাজিবপুর উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিককে রৌমারী খাদ্যগুদামের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
খাদ্যগুদাম সূত্র জানায়, গত ১৮ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে স্থানীয় এক মিলারের কাছ থেকে সরকারি বরাদ্দের ২৫০টি বস্তায় ৭ হাজার ৫০০ কেজি (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) মানসম্পন্ন চালের পরিবর্তে পচা চাল গুদামে মজুদ করা হয়। এ কাজ করেন রৌমারী উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম। সেসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান ওই খাদ্যগুদামে অভিযান পরিচালনা করে এসব পচা চাল জব্দ করেন। এ ছাড়া, ওই খাদ্যগুদামে আগের মজুদকৃত ১৯ মেট্রিক টন খাবার অনুপযোগী চাল জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত দলসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তদন্ত দল সরকারি বরাদ্দকৃত চালের নমুনার সঙ্গে গুদামে মজুদকৃত চালের কোনো মিল খুঁজে পায়নি। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বিকালে রৌমারী উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
তদন্ত দলের প্রধান ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক সাংবাদিকদের জানান, রৌমারী উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মোর্শেদ আলমের বিরুদ্ধে শিগগির বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।
Comments