বন্যায় সুনামগঞ্জে ৬ হাসপাতাল-কমিউনিটি ক্লিনিক প্লাবিত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের ছাতকের কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতাল এবং ৩ উপজেলার ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্লাবিত হয়েছে।  
হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে এসব হাসপাতালে নিতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালে ভর্তি রোগীরাও ভোগান্তিতে আছেন।  ছবি: স্টার

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের ছাতকের কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতাল এবং ৩ উপজেলার ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্লাবিত হয়েছে।  

হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে এসব হাসপাতালে নিতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালে ভর্তি রোগীরাও ভোগান্তিতে আছেন। 

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল্লাহ আল বেরুনি খান আজ শনিবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ছাতক উপজেলার একটি হাসপাতাল ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, তাহিরপুর উপজেলার ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক, দোয়ারা বাজার উপজেলার একটি কমিউনিটি ক্লিনিক প্লাবিত হয়েছে। তবে সেবা কার্যক্রম চলছে। 

কৈতক এলাকার সাদেক মিয়া বলেন, 'কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালের ভেতরে হাঁটু সমান পানি। সামনের সড়কে কোমর সমান পানি।'  

কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালে অবস্থানরত শফিকুল ইসলাম বলেন, 'কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে ভর্তি আছি। চারদিকে পানি। হাসপাতালের নিচতলাও প্লাবিত হয়েছে। হাসপাতাল থেকে বাইরে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই।'   

ছবি: স্টার

সাচনা বেগম নামের আরেক রোগী বলেন, 'হাসপাতালের সামনে এত পানি দেখে ডাক্তার না দেখিয়েই বাড়ি চলে যাচ্ছি।'

কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রুবাইয়া ফেরদৌস বলেন, 'এত ভোগান্তির মধ্যেও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছি। হাসপাতালের পাশাপাশি পাহাড়ি ঢলের পানিতে চিকিৎসক ও নার্সদের আবাসিক ভবনও ডুবেছে।'

জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহরুল ইসলাম বলেন, 'সুরমা নদীর পানি আজ বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি না কমলে বন্যার পানি কমবে না।'

Comments