পটুয়াখালীতে অশনির প্রভাবে ৯ কোটি টাকার ফসলহানি

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য নিরূপণ করেছে পটুয়াখালীর কৃষি বিভাগ। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, ক্ষতির এই পরিমাণ প্রায় ৯ কোটি টাকা। ১ হাজার ৫৫ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এই ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া মুগডালের খেত। ছবিটি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সোনাতলা গ্রাম থেকে সম্প্রতি তোলা। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য নিরূপণ করেছে পটুয়াখালীর কৃষি বিভাগ। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, ক্ষতির এই পরিমাণ প্রায় ৯ কোটি টাকা। ১ হাজার ৫৫ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এই ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, অশনির প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মুগডালের। জেলায় এ বছর মোট ৮৬ হাজার ৪৩১ হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষ করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৮৯২ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যায়। তাতে মোট ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

এর বাইরে ৬১ হেক্টর জমির মরিচ তলিয়ে ক্ষতি হয়েছে ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। এছাড়া ৬২ হেক্টর জমির ফেলন ডাল তলিয়ে ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ৩৫ হেক্টর জমির চিনাবাদাম তলিয়ে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও সাড়ে ৫ হেক্টর জমির শাক-সবজি ২০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কে এম মহিউদ্দিন জানান, ক্ষয়ক্ষতির এই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

জেলার কলাপাড়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের কৃষক জাফর সরদার জানান, এই বৃষ্টিতে তার ২৭ শতাংশ জমির মুগডাল, মরিচ ও ফেলনা ডালের খেত নষ্ট হয়েছে।

রহিম হাওলাদার নামের আরেক কৃষক ৩০ শতাংশ জমিতে চিনাবাদাম, মরিচ ও মুগডাল লাগিয়েছিলেন। এর কিছুই তিনি ঘরে তুলতে পারেননি বলে জানান।

কৃষক শাহ আলমের ভাষ্য, বৃষ্টিতে তার ১৮ শতাংশ জমিতে লাগানো চিনাবাদাম, মুগডাল, মরিচ নষ্ট হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

High Temperature Days: Barring miracle, record of 76yrs breaks today

At least 23 days of this month were heatwave days, which equals the record set in 2019 for the entire year.

11h ago