বর্ষবরণে প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলা নতুন বছর ১৪২৯ বরণ করে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চারুকলা অনুষদ।
করোনাভাইরাসের কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের জন্য চলাচলের ক্ষেত্রে সতকর্তা অবলম্বন করে আনন্দময় পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নববর্ষ উদযাপনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আজ বুধবার চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নববর্ষ উদযাপন প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে উপাচার্য এই আহ্বান জানান।
এর আগে উপাচার্য চারুকলা অনুষদের করিডোরে মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য ২ দিনব্যাপী পোস্টার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। চারুকলার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান 'মঙ্গল শোভাযাত্রা গবেষণা ও প্রসার কেন্দ্রের' উদ্যোগে ২৬ জন শিল্পীর অংশগ্রহণে এক কর্মশালার মাধ্যমে এই পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের কারণে চলাচলের পথ সরু থাকায় নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় টিএসসির সামনে রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের স্লোগান হচ্ছে, 'নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে'।
এ ছাড়া পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা, বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে নববর্ষের সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন বিকেল ৫টার পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধু নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন।
Comments