এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না: উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন শুরুর ৩০ দিন পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচিতে অংশ নিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার সকালে পহেলা ফাল্গুনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রথমে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে সমবেত হয়। সেখানে কেক কেটে এবং বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উৎসব করা হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাড়াও, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনে অংশগ্রহণ না করলেও ছাত্রলীগ সমর্থক নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সব উদযাপনে অংশ নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের সময় দেওয়া বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে সবাই একযোগে কাজ করব।'
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ শিক্ষার্থীরা, আমি উদাত্ত আহবান জানাব যে তোমরা সবাই আগে যেভাবে পড়াশোনা করেছো, এভাবে করো, আমরা তোমাদের পাশে আছি, যে কোনো সমস্যায় পাশে থাকব। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না।'
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে ফুল বিক্রির উদ্যোগ দিয়েছে। বিক্রি হওয়া ফুলের টাকা গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশের হামলায় আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় ব্যয় করা হবে বলে জানান তারা।
এ ছাড়া উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের সময়কার স্থিরচিত্র নিয়ে একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা।
গত ১৩ জানুয়ারি প্রাধ্যক্ষবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে শুরু হয় উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন। সেদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে পরদিন দুপুরের মধ্যে হল খালির নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৯ জানুয়ারি থেকে ২৪ শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু পর ২৬ জানুয়ারি অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমীন হকের মধ্যস্থতায় সরকারের আশ্বাসে কর্মসূচি শেষ হয়।
গত শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
Comments