সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে বংলাদেশের বড় সংগ্রহ

আজও দারুণ ব্যাটিং করছিলেন সাকিব। এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাফসেঞ্চুরির পথে। কিন্তু চার্লস আমিনির দুর্দান্ত এক ক্যাচের বলী হন সময়ের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার। তবে এর আগেই কাজের কাজটা করে দিয়েছেন। আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন বড় সংগ্রহের ভিত। সে ধারা ধরে রাখেন মাহমুদউল্লাহ-আফিফরা। তাতে পাপুয়া নিউগিনিকে বড় লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

আজও দারুণ ব্যাট করছিলেন সাকিব আল হাসান। এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাফসেঞ্চুরির পথে। কিন্তু চার্লস আমিনির দুর্দান্ত এক ক্যাচের শিকার হন সময়ের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার। তবে তার অসমাপ্ত কাজ ঝড়ো ফিফটিতে সারেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর আফিফ হোসেন আর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের দুটি ক্যামিওতে পাপুয়া নিউগিনিকে বড় লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার ওমানের মাসকাটের আল-আমেরাত স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে ১৮২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। দলের  হয়ে ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ, সাকিব ৩৭ বলে করেন ৪৬। আফিফ ১৪ বলে ২১ আর মাত্র ৬ বলে ১৯ আসে সাইফুদ্দিনের  ব্যাট থেকে। 

সাকিব-লিটনের ব্যাটে এদিন পাওয়ার প্লেতে তুলনামূলক ভালো ব্যাট করে বাংলাদেশ। যদিও ইনিংসের শুরুতেই খালি হাতে বিদায় নেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। সে ধাক্কা সামলে এই দুজন পান ৫০ রানের জুটি।  এ জুটির পথে পাওয়ার প্লেতে আসে ৪৫ রান। যা এ আসরে টাইগারদের সর্বোচ্চ। এর আগে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫ ও ওমানের বিপক্ষে ২৯ রান করেছিল দলটি। ছন্দ হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লিটন এদিন ছিলেন সাবলীল। শুরু থেকেই স্বচ্ছন্দে ব্যাট করছিলেন। থিতু হয় বড় কিছুর আভাস দিয়েও মাঝপথে থামেন তিনি। ২২ বলে ১ চার, ১ ছক্কায় লিটনের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। 

মাঝের ওভারগুলোতেও প্রত্যাশিত ব্যাট করতে পেরেছে বাংলাদেশ। পরের নয় ওভারে (সপ্তম থেকে ১৫তম ওভার পর্যন্ত) আসে ৬৮ রান। যদিও এ সময়ে ৩টি উইকেট হারায় দলটি। আর শেষ পাঁচ ওভারে তুলতে পেরেছে ৬৮ রান।

এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন সাকিব। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিক। ২২ রানের জুটির পর ফিরে গেছেন হিরিহিরির হাতে ক্যাচ তুলে। এবার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে জুটি বাঁধেন সাকিব। ২৯ রানের জুটিতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু আমিনির অসাধারণ ক্যাচে আজও হাফসেঞ্চুরির কাছে গিয়ে আউট হন সাকিব।

তবে সাকিব না পারলেও পেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ২৭ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। তবে আউট হয়েছেন এর ঠিক পরের বলেই। ড্যামিয়েন রাভুর হাই ফুলটাস তুলে দিয়েছেন চাদ সোপারের হাতে। তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখে প্রথম নটআউট দিলেও পড়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলে সাজঘরে ফিরতে হয় অধিনায়ককে। এরপর আফিফ ও সাইফউদ্দিনের ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহই পায় বাংলাদেশ।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। ২৮ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন অধিনায়ক। ৩৭ বলে ৩টি ছক্কায় ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। ২৩ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ২৯ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। আফিফ ২১ রান করেন। শেষ তিন বলে ২টি ছক্কা ও একটি চারের দারুণ এক ক্যামিও খেলে ৬ বলে ১৯ রান করেন সাইফউদ্দিন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৮১/৭ (নাঈম ০, লিটন ২৯, সাকিব ৪৬, মুশফিক ৫, মাহমুদউল্লাহ ৫০, আফিফ ২১, সোহান ০, সাইফউদ্দিন ১৯*, শেখ মেহেদী ২*; মরেয়া ২/২৬, রাভু ২/৪০,  চাদ ০/৫৩, সেসে ০/২০, আসাদ ২/২৬, আমিনি ০/৯, আটাই ১/৬) 

Comments

The Daily Star  | English

Cuet students suspend protests

Say authorities assured them of meeting their major demands

5h ago