টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড গড়লেন সাকিব
শহিদ আফ্রিদির সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে থেকে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। তাকে পেরিয়ে যেতে বেশি সময় নিলেন না বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে জোড়া আঘাত হেনে এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে গেলেন তিনি।
রোববার শারজাহতে নিজের সাফল্যের মুকুটে আরেকটি পালক যোগ করেছেন সাকিব। আসরের সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে পাথুম নিসাঙ্কাকে বোল্ড করে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন বাকি সব বোলারকে।
ক্রিকেটের আধুকিতম সংস্করণের বিশ্ব আসরে ৩৪ ম্যাচ খেলে ২৩.২৫ গড়ে ৩৯ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আফ্রিদি। সাকিব তাকে ছাড়িয়ে চূড়ায় উঠে গেলেন পাঁচ ম্যাচ কম খেলেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৪১ উইকেট নিতে এই বাঁহাতি স্পিনারকে খেলতে হয়েছে ২৯ ম্যাচ।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে পান ৩৪ বছর বয়সী সাকিব। কোনো বাউন্ডারি হজম না করলেও ৫ রান দেন তিনি। এরপর নবম ওভারে তাকে আক্রমণে ফেরান বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফিরেই ১৭২ রানের লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগোতে থাকা শ্রীলঙ্কার ইনিংসে জোড়া ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান সাকিব।
প্রথম বলেই স্টাম্প উপড়ে যায় ওপেনার নিসাঙ্কার। ২১ বলে একটি করে চার ও ছয়ে তিনি করেন ২৪ রান। এতে ভাঙে চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে তার ৪৫ বলে ৬৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। এরপর আভিস্কা ফার্নান্দো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ৩ বল খেলে শূন্য রানে মাঠ ছাড়ার আগে তিনিও হন বোল্ড। এই ওভারে সাকিব খরচ করেন মোটে ১ রান।
বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই আরেক কীর্তি গড়েন সাকিব। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে তিনি হয়ে যান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার।
আরও একটি কীর্তি হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা বিজ্ঞাপন সাকিবকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার চার উইকেট নেওয়ার তালিকাতে তিনি আছেন যৌথভাবে শীর্ষে। তার মতো পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাঈদ আজমলও তিনবার পেয়েছেন চার উইকেট।
Comments