কষ্ট চেপে ‘অবিশ্বাস্য’ কোর্তুয়াকে কৃতিত্ব দিলেন লিভারপুল কোচ
ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণের স্রোত তৈরি করেছিল লিভারপুল। পরিষ্কার দাপট দেখিয়ে খেলার নিয়ন্ত্রণ অনেকটা নিয়ে নিয়েছিল তারা। তবে জালের ঠিকানা পাওয়ার কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত আর ধরা দিচ্ছিল না। থিবো কোর্তুয়া নামের দেয়ালে গিয়ে মিইয়ে গেছে তাদের সব ঝাঁজ। রিয়াল মাদ্রিদের কাছে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল হেরে লিভারপুল কোচ ইয়র্গেন ক্লপ কষ্ট আড়াল করছেন পেশাদার মানসিকতায়। বাহবা দিচ্ছেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে।
অফ সাইডে একটি গোল বাতিল হওয়া ছাড়া প্রথমার্ধে বলার মতো সেরকম সুযোগ তৈরি করেনি রিয়াল। বিরতির পর ধীরে ধীরে খেলায় ফিরে তারা। ৫৯ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোল ম্যাচে এগিয়ে যায়। সেই লিড ধরেই ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার আনন্দে ভাসে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
ম্যাচের দ্বিতীয় অংশেও অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেছিল ইংলিশ ক্লাব। রিয়ালের রক্ষণ ভেদ করে এগুলেও শেষ দিকে গিয়ে বারবার বাধা হয়েছেন কোর্তুয়া। ম্যাচ জেতানো একমাত্র গোল ভিনিসিয়ুস করলেও ম্যাচ সেরা হয়েছে এই বেলজিয়ান।
ম্যাচ শেষে ক্লপ বলেন, কোর্তুয়ার ম্যাচ সেরা হওয়াটাই প্রমাণ দেয় রিয়ালকে তালগোল পাকাতে পেরেছিলেন তারা, 'যখন গোলরক্ষক ম্যাচ সেরা হয় তখন বুঝতে হবে প্রতিপক্ষ দলের কিছু জিনিস ঠিকঠাক ছিল না। কোর্তোয়া অবিশ্বাস্য তিনটি সেইভ করেছে, কিন্তু আমরাও যেভাবে খেলছিলাম তাতে এমন সুযোগ আরও আসতে পারত। শেষ দিকে কোর্তোয়ার উদ্দেশ্যে কিছু শট মেরেছিলাম যা খুব কাজের ছিল না।'
'দ্বিতীয়ার্ধে আমরা রিয়ালের ফরমেশনের কাছাকাছি খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রিয়ালের মতো দল যখন নিচে নেমে খেলে তাদের প্রতি আক্রমণের তোড় হয় তীব্র। আমাদেরকে এই ফল মেনে নিতে হবে।'
পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশ্যে ২৪টি শট নেয় লিভারপুল, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। সবগুলোতেই বাধার নাম কোর্তুয়া। অপরদিকে রিয়াল নিতে পারে স্রেফ চার শট, লক্ষ্যে মাত্র দুটি। যার একটি থেকে তারা পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত গোল। তবে ফুটবলে এরকমটা হতেই পারে, এটাকে স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছেন ক্লপ, 'অস্বাভাবিক কিছু নয়, ফুটবলে এটা স্বাভাবিক ফল। আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছি, লক্ষ্যেও শট রেখেছি কিন্তু ম্যাচ নির্ধারণী গোলটি মাদ্রিদ পেয়ে গেছে। তারা একটি গোল করেছে, আমরা পারিনি। এটিই সরল ব্যাখ্যা। এই ফলকে আমাদের সম্মান জানাতে হবে।'
Comments