রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় ঝুঁকি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যেমন ঝুঁকি আবার বিষয়টি মানবিক সংকটেরও। বাংলাদেশের যতটুকু খাদ্য আছে আমরা সেগুলো ভাগ করে খাবো। তবুও যেসব দেশ রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশের ত্রাণ পাঠাচ্ছে তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’ সোমবার কলকাতা এক আন্তর্জাতিক সেমিনারের অংশ নিতে এসে গণমাধ্যমকে এই কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
প্রতিমন্ত্রী ভাষায়, ‘অবশ্যই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি। আমাদের অতিতে কিছু খারাপ অভিজ্ঞতাও আছে। তবুও বাংলাদেশ সরকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। সে কারণে আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ শুরু করেছি।’
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে প্রায় আট লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে বলেও জানান শাহরিয়ার আলম।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না জানালেও রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে চীনের অবস্থান নিয়ে স্পষ্ট করেন শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মিডিয়ার কাছে বলেছেন যে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ দুটো দেশই তাদের বন্ধুপ্রতিম।
কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস যৌথভাবে এদিন আইসিসিআর এর সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে ‘আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক আলোচনার চক্রের আয়োজন করে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
Comments