প্রবাসে

খায়রুজ্জামানকে দেশে পাঠানোর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে মালয়েশিয়ার আদালত

মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট দেশটির অভিবাসন বিভাগের বিরুদ্ধে একটি অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ মঞ্জুর করেছে। যার ফলে এখনই সাবেক বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারছে না দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
খায়রুজ্জামান। ফাইল ছবি

মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট দেশটির অভিবাসন বিভাগের বিরুদ্ধে একটি অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ মঞ্জুর করেছে। যার ফলে এখনই সাবেক বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারছে না দেশটির অভিবাসন বিভাগ।

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিচারপতি মোহামেদ জাইনি মাজলান খায়রুজ্জামানের আইনজীবীদের দায়ের করা হ্যাবিয়েস কর্পাস বা 'আটককৃতকে হাজির করার জন্য' রিট আবেদনের বিপরীতে এই আদেশ দেন।

খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিতা রহমান অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ সরকার তাকে গ্রেপ্তার করিয়েছে।

অভিবাসন কর্তৃপক্ষ খায়রুজ্জামানকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে কুয়ালালামপুরের আমপাং এলাকায় তার বাসা থেকে আটক করে।

সাবেক এই কূটনীতিবিদের আইনজীবী জানান, তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন এবং তার একটি বৈধ শরণার্থী কার্ড রয়েছে। তিনি কোনো অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেননি। সুতরাং তাকে আটক করার বিষয়টি বেআইনি।

খায়রুজ্জামানের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক জাইনি বলেন, 'আমি শুনতে চাই না যে তাকে এই আদালতের মঞ্জুর করা আদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।'

আদালত খায়রুজ্জামানের হ্যাবিয়াস কর্পাস আবেদনের শুনানির দিন হিসেবে ২০ মে ধার্য করেছেন।

তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিতা রহমান জানান, তিনি আদালতের সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা করেন তার স্বামী কোথায় আছেন এবং কেমন আছেন তা শিগগির তাকে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান (৬৫) ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং পরে খালাস পান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসতে বলা হয়। দেশে ফেরা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।

Comments