সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২ বছর বাড়ানোর দাবি

করোনা পরিস্থিতির কারণে দেড় বছরের বেশি সময় নষ্ট হওয়ায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে জনসমাবেশ। ছবি: স্টার

করোনা পরিস্থিতির কারণে দেড় বছরের বেশি সময় নষ্ট হওয়ায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে জনসমাবেশ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। জনসমাবেশ থেকে এ দাবি জানান তারা। এদিনের সমাবেশে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাকরিপ্রার্থীরা যোগ দেন।

তারা শাহবাগ থেকে সমাবেশ শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে যাওয়ার পথে শাহবাগ থানার সামনে কিছু সময় অবস্থান করেন। এসময়  করলে পুলিশ তাদের তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন সমাবেশে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীদের। পরে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

সমাবেশে চাকরিপ্রার্থীরা করোনাকালে ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ও মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ করার দাবি জানান।

চাকরির বয়স ৩২ করার দাবির পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে তারা বলেন, করোনাকালীন অচলাবস্থায় সব বয়সের শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রত্যাশীরা ইতোমধ্যেই দেড় বছর হারিয়ে ফেলেছে। ১৯৯১ সালে শেষবার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ করা হয়, যখন গড় আয়ু ছিলো ৫৭ বছর। এই ৩০ বছরে গড় আয়ু ১৬ বছর বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ বছর হলেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় বাড়ানো হয়নি।

তারা আরও জানান, ২০১১ সালে এসে অবসরের বয়স বেড়ে হয় ৫৯ আর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য হয় ৬০ বছর। অবসরের মেয়াদ যেহেতু ২ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে, সেক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২ বছর বৃদ্ধি করলে সেটাও আর সাংঘর্ষিক হয় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অক্ষয় রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখিত ‘প্ৰতিশ্ৰুতি’ অনুযায়ী করোনাকালীন প্রণোদনা হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ উন্নীত করার জোরালো দাবি ও আবেদন জানাচ্ছি।’

Comments