দুঃসাহসী কিশোর বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু বকর

একাত্তরের কিংবদন্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু বকর (বীর বিক্রম)। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন মাত্র ১৮ বছরের কিশোর! ওই বয়সের একজন কিশোরের চিন্তার পরিসর কতটুকুই বা বিস্তৃত হতে পারে। অথচ সেই বয়সেই তিনি কিনা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মতো দুর্ভেদ্য জায়গায় টাইম বোমা নিয়ে ঢুকে হামলা চালালেন। এমন অভিযান চালাতে হলে কতটা দুঃসাহসী হতে হয় তা আলাদা করে উল্লেখ করার দরকার হয় না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু বকর। ছবি সূত্র: গেরিলা ১৯৭১

একাত্তরের কিংবদন্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু বকর (বীর বিক্রম)। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন মাত্র ১৮ বছরের কিশোর! ওই বয়সের একজন কিশোরের চিন্তার পরিসর কতটুকুই বা বিস্তৃত হতে পারে। অথচ সেই বয়সেই তিনি কিনা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মতো দুর্ভেদ্য জায়গায় টাইম বোমা নিয়ে ঢুকে হামলা চালালেন। এমন অভিযান চালাতে হলে কতটা দুঃসাহসী হতে হয় তা আলাদা করে উল্লেখ করার দরকার হয় না।

একাত্তরে ১৮ বছর বয়সে ঢাকা ছেড়ে প্রশিক্ষণ নিতে যান ভারতের মেলাঘরে। কারণ, দেশ মাতৃকাকে বাঁচানোর অসীম নেশা আর মায়ার টানে আটকে পড়েন তিনি।

শহীদ আবু বকরের জন্ম নীলফামারীর সৈয়দপুরে, ১৯৫৩ সালের ৫ মে।  বাবা আবু জাফর ছিলেন সরকারী চাকরিজীবী, আর মা আনোয়ারা খাতুন গৃহিণী। যদিও আবু বকরদের পৈত্রিক ভিটে ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ। বাবার চাকরির সুবাদে নীলফামারীতেই আবাস গড়েছিলেন তারা। সেখানেই জায়গা কিনে বাড়ি করলেন আবু জাফর। কিন্তু, এক সময় ১৯৬৯ সালে সৈয়দপুরের ভিটে বাড়ি বিক্রি করে ঢাকার গুলশানে আবু বকরের মামাদের থেকে  জায়গা কিনে বাড়ি করেন আবু জাফর। মূলত আবু বকরের মামারা আগে থেকেই ঢাকায় স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন।

আবু বকররা ছিলেন সাত ভাই, তিন বোন। আবু বকরের শিক্ষা জীবন শুরু হয় নীলফামারীতেই। ছোটবেলা থেকেই অসম্ভব মেধাবী ছিলেন তিনি। মানুষের সঙ্গে মিশে অল্প সময়ের মধ্যে তাকে আপন করে নেওয়ার অভিনব ক্ষমতা ছিল তার। নীলফামারীতে মাধ্যমিক পাশ করার পরে ঢাকায় ফিরে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৭০ সালে তৎকালীন কায়েদে আজম কলেজে ভর্তি হন আবু বকর। ১৯৭১-এ তিনি ছিলেন কায়েদে আজম কলেজের বিএ ক্লাসের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তখন তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অফিসার্স কোর্সে যোগদানের অপেক্ষায় ছিলেন।

’৭১ এর ১ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে শুরু হলো অসহযোগ আন্দোলন। আর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদারেরা ঘুমন্ত বাঙালির ওপর চালালো ইতিহাসের পৈশাচিক গণহত্যা। আবু বকর সেদিন বাড়িতে। পরদিন ২৬ মার্চ বন্ধুসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন শহীদ আবু বকর। দেখেছিলেন পাকিস্তানি হানাদারদের তাণ্ডবলীলা ও ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য। দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও ভঙ্ককর হয়ে উঠলো। পাকিস্তানি হানাদারেরা কেবল ঢাকায় না, বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদে চালালো গণহত্যা ধর্ষণ,  নির্মমতা, পাষণ্ডতা। এর মধ্যে বিবেকের দায়ে দংশিত হতে থাকেন আবু বকর।  ঠিক  করে নেন কিছু একটা তো করতেই হবে! ধীরে ধীরে দেশ তখন মৃত্যুপুরী, মনস্থির করে নিলেন এবার কিছু করা ছাড়া উপায় নেই। তাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে হানাদারদের কবল থেকে। তখন মে মাসের শেষ সপ্তাহ। আবু বকর, আবু বকরের ছোট ভাই কর্নেল রেজার ছেলে তালাহ রেজা বসে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিবেন। কিন্তু, তার আগে তো প্রশিক্ষণ লাগবে। তাই ভারতের আগরতলায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

কিন্তু, মায়ের কাছে বলার শুরুতে মা রাজি হলেন না। মা তো আর কিশোর ছেলেকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারেন না। তাই অনুমতি মিলল না। কিন্তু, অনড় আবু বকর। বহু বোঝানোর পর শেষমেশ অনুমতি পাওয়া গেল। তবে, ছোট ভাই হায়দারকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। যেতে পারবেন তারা দুজন। এর মধ্যে বকরের মেঝ ভাই ভারতে চলে গেছেন মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নিতে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত তখন প্রচুর দেশপ্রেমিক তরুণ জওয়ান প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়ায় অনেককে তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে আবু বকরের বড়ভাই তখন সৌদি আরবে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। তাই শেষ পর্যন্ত একজন পুরুষ মানুষ ঘরে না থাকলে সমস্যা এই আশঙ্কায় হায়দারকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

কিন্তু, আবু বকর ও তালাহ রেজা প্রশিক্ষণের জন্য ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় অজানা কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। পরে ত্রিপুরার মেলাঘর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আবু বকর ফিরে আসেন দেড় মাস পরে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে।

মেলাঘর থেকে প্রশিক্ষণ শেষে অপারেশনের জন্য ঢাকায় এসে বকর বেশির ভাগ সময় নিজ বাড়িতেই থাকতেন। তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে আশেপাশে থাকতো ছোট দুই ভাই- হায়দার ও আবরার। বকর ভাইদের কাছে বিভিন্ন অপারেশনের ঘটনা খুলে বলতেন। যেমন- কুমিল্লার গোমতী নদীর ওপর আর্মিরা গানবোর্ডে চড়ে পেট্টোলিং করতো, রাতের বেলায় কচুরিপানার আড়ালে ভেসে থেকে এসএলআরের মাথায় রকেট লান্সার লাগিয়ে গানবোর্ডগুলোর ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনা।

এই অপারেশনগুলো করা হতো মূলত পেট্রোলিংরত আর্মিদের অস্ত্র-টাকা পয়সা লুট করতে।

এর আগে, জুনের শেষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের প্রথম অপারেশন চালান বকর। দ্বিতীয় অপারেশনের জন্য পরিকল্পনা করা হলো এবং ততদিনে বেশ কয়েকটি অপারেশন করে হাত পাকিয়ে ফেলেছেন বকর। ১১ আগস্টের দ্বিতীয় অপারেশনের নেতৃত্ব দিলেন বকর!!  মাত্র ১৮ বছরের এক তরুণ নেতৃত্ব দিলেন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভয়াবহ সেই অপারেশনের।

কি হয়েছিল ক্র্যাক প্লাটুনের সেই বিখ্যাত  ইন্টারকন্টিনেন্টাল অপারেশনে?

৯ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের চারপাশে কড়া পাহারা মোতায়েন করা হয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানি পুলিশ। হোটেলের তিন কোণে ছিল বালির বস্তার প্রতিরোধ দেয়াল, সেখানে সার্বক্ষণিক লাইট মেশিনগান, এসএলআর বা জি-৩-এর নল উঁচু হয়ে আছে। এছাড়াও, হোটেলের নিজস্ব গার্ড তো ছিলই। এই অবস্থায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অকারণে বা মোটামুটি প্রয়োজনে প্রবেশ করা দুঃসাধ্য কাজ ছিল। কীভাবে আক্রমণ চালানো যায় তা নিয়ে বৈঠক হলো। বৈঠকে সামাদ– যিনি নিওন সাইন এবং গ্লো-সাইন এর ব্যবসা ও কনট্রাক্টরের কাজ করতেন। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিভিন্ন দোকানে নিওন এবং গ্লো-সাইন এর কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা সামাদের ছিল। তিনি হোটেলে প্রবেশের একটি উপায় খুঁজে বের করলেন।

থাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স-এর একটি প্রশস্ত অফিস ছিল হোটেলের শপিং আর্কেডের পূর্ব-পশ্চিম দিকের সারিতে। বিমান সংস্থাটি ওখান থেকে অফিসটি হোটেলের আর্কেডের পূর্ব কোণে একটি ছোট কক্ষে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলো। ব্যয় সংকোচনই ছিল সংস্থাটির মূল উদ্দেশ্য। ২৫ মার্চের পর থেকে বাংলাদেশের অধিকৃত এলাকার ভেতরে যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন ভেঙে পড়েছিল, তেমন বহির্জগতের সঙ্গেও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ বন্ধন। বিদেশি বিমান কোম্পানি তো দূরের বিষয়, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সও হালে পানি পাচ্ছিল না। সামাদ সাহেব এই অফিস স্থানান্তরের সুযোগটি নিলেন। গায়ে পড়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ সেরে প্রতিযোগিতা এড়াতে চলতি বাজার থেকে অনেক কম দর প্রস্তাব করা হলে বিমান সংস্থাটি সম্মত হয়।

সামাদ কন্ট্রাক্টর আর আবু বকর সহযোগী হয়ে কাজের ওছিলায় কয়েকদিন রেকিওয়ার্ক করলেন। রেকিওয়ার্কে কয়েকদিনের যাতায়াতের প্রথমদিকে গেটে চেকিং করে ঢুকানো হলেও, পরবর্তীতে বিনা চেকিংয়েই ওদের ঢুকতে দিত। বকরের ওপর থেকে সন্দেহের চোখ কিছুটা নমনীয় হয়েছিল ওর অল্প বয়সী আলাভোলা চেহারার জন্যে। তাছাড়া, বকর ভাল উর্দুও বলতে পারতেন, যাওয়া আসার সময় পাহারারতদের সঙ্গে উর্দুতে কথাবার্তা এমনকি ইয়ার্কিও করত। এসব কারণেই ওদের চলাচলের ওপর সন্দেহের চোখটা অপারেশনের দিনক্ষণের আগেই চলে গিয়েছিল।

কয়েকদিনের রেকি করা হয়ে গেলে– বকর আর সামাদ সিদ্ধান্ত নিলেন ‘সাকী বার’-এর বিপরীত দিকে পুরুষদের টয়লেট রুমের একেবারে কোণার বাথরুমে বিস্ফোরক রাখা হবে। ১০ তারিখের মধ্যেই তারা গ্লো-সাইনের কাজ শেষ করলেন। ১১ আগস্ট সকালে বায়তুল মোকারম থেকে ৫৩ টাকা দিয়ে কেনা হলো একটি ব্রিফ কেস। তারপর এর ভেতর সাজানো হলো বিস্ফোরক- ২৮ পাউন্ড পিকে এবং ৫৫ মিনিট মেয়াদী টাইম পেন্সিল। তারপর বিকেলে আবু বকর, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, গাজী গোলাম দস্তগীর ও সামাদ গাড়িতে রওনা হলেন হোটেলের দিকে।  মায়া আর গাজী হোটেল থেকে কিছু দূরে স্ট্যানগান নিয়ে গাড়িতে অপেক্ষা করতে থাকলেন।

হোটেলে লাউঞ্জে প্রবেশের জন্যে মূল দরজা দিয়ে না ঢুকে ‘সুইচ এয়ার’-এর অফিস কক্ষের দরজা দিয়ে সামাদকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে ঢুকলেন আবু বকর। ওই অফিসেরই এক বন্ধু তাদের এ ব্যাপারে সহায়তা করলেন। টয়লেটের মূল দরজায় সামাদকে পাহারায় রেখে ব্রিফকেস নিয়ে কোনার ল্যাট্টিনে ঢুকে পড়লেন বকর, ল্যাট্রিনের দরজা ভেতর থেকে লক করে কাজে লেগে যান। ব্রিফকেসটি রাখা হলো কমোডের পেছনে, তারপর টাইম পেন্সিল প্রেস করে ল্যাট্রিনের দরজা বন্ধ অবস্থাতেই রেখে ওপর দিককার দেয়াল টপকে বেরিয়ে আসেন তিনি। সামাদকে প্রথমে বের করে সবশেষে দ্রুততার সঙ্গে হোটেল থেকে বেরিয়ে আসেন বকর।

সন্ধ্যা ৫টা ৫৬ মিনিটে ঘটলো প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। হোটেল লাউঞ্জ, শপিং আর্কেড এবং আশপাশের কক্ষের কাঁচ টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ল, ছিটকে গেল কক্ষের দরজা, ভেঙে পড়ল কক্ষের ভেতর এবং লাউঞ্জের লাগোয়া দেয়াল। আহত হলো বেশ কয়েকজন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তি-বাহিনীর তৎপরতায় আরেকটি রোমাঞ্চকর সচিত্র সংবাদ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছিল।  ক্র্যাটপ্লাটুনের আরও কয়েকটি অপারেশনে শহীদ বকর অংশ নিয়েছিলেন। চুপচাপ স্বভাবের ছিলেন বটে, কিন্তু দুর্ধর্ষতা তাকে অনবদ্য অংশ করে তুলেছিল ক্র্যাকপ্লাটুনে।

যেভাবে নিখোঁজ হলেন তিনি

’৭১ এর ২৯ আগস্ট দিবাগত রাত তিনটার দিকে রুমি আজাদদের মতো আবু বকরকেও ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি বাহিনী। নাখালপাড়া ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এমপি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে পাকিস্থানি আর্মিদের দ্বারা অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হন আবু বকর, রুমি, বদিসহ সাতজন। তারপর  তাঁদের ভাগ্যে কী ঘটেছে কেউই জানে না!

মাত্র ১৮ বছর বয়সে একজন কিশোর যখন নিজেকে নিয়ে চিন্তা করে- তার গণ্ডি সচরাচর আবদ্ধ থাকে নিজের বিনোদন, নিজস্ব ভাবনায়, আড্ডা, গান আর বই পড়ায়। অথচ, সেই আঠারো বছর বয়সেই নিজের মাতৃভূমিকে বাঁচাতে, একটি মুক্ত স্বদেশের টানে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন শহীদ আবু বকর। তাইতো শহীদ আবু বকর বারেবারে ফিরে আসেন এই বাংলায়। শহীদ আবু বকর থাকবেন এই দেশের বুকে চির ভাস্বর হয়ে।

আজ ক্র্যাকপ্লাটুনের দুর্ধর্ষ যোদ্ধা শহীদ মোহাম্মদ আবু বকর (বীর বিক্রম)-এর  জন্মদিন। বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো এই কিংবদন্তি বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি।

তথ্যসূত্র: 

একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (দ্বিতীয় খণ্ড)

একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রন্থ

আহমাদ ইশতিয়াক, [email protected]

আরও পড়ুন:

 

Comments

The Daily Star  | English

Rooppur Nuclear Power Plant: First unit to start production in December

Project deadline extended by 2 years, but authorities hope to complete grid line work before scheduled commissioning

11h ago