-
মানুষের চেয়ে পাঁচ হাজার কোটি গুণ ক্ষুদ্র করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পৌঁছে গেছে। মহামারিকালের সবচেয়ে ভালো সংবাদ এটাই। কার্যত এই ক্ষুদ্র ভাইরাস থেকে মুক্তির সুনির্দিষ্ট ওষুধ নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে নানা ওষুধের সমন্বয়ে মোকাবিলা করার চেষ্টা করছেন। বিস্ময়করভাবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছে। ট্রায়ালে কার্যকারিতা প্রমাণের পর মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন দেওয়াও শুরু হয়েছে। এসব তথ্য অজানা নয়।
-
অত্যন্ত সুসংবাদ যে, ভারতের উপহার ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছাচ্ছে। কিন্তু, ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থাপনার শঙ্কা দূর হয়নি। বাংলাদেশে ভ্যাকসিন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা শুরু করা দরকার ছিল। সরকারের পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলামসহ অনেক বিশেষজ্ঞ গত কিছু মাস ধরে এ কথা বলছিলেন। তাদের যুক্তি, প্রথমত অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে বোঝা দরকার ছিল বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা কত? দ্বিতীয়ত, আক্রান্তদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির ধরন কেমন?
-
দু’একটি ঘটনা শরীর ও মনের ওপর এতটাই প্রভাব ফেলে যে, স্বাভাবিক চিন্তার গতি যেন থমকে যায়। কলাবাগানে ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ-হত্যা তেমনই একটি ঘটনা। এখানেই শেষ নয়। ঘটনা-পরবর্তী ঘটনা আরও হৃদয়বিদারক, আরও মর্মান্তিক।
-
করোনাভাইরাস অতি ক্ষুদ্র। অতি ক্ষুদ্র মানে কত ক্ষুদ্র? এক ডোজ করোনা ভ্যাকসিনে মানে একটি টিকা যখন আপনি নেবেন, আপনার শরীরে প্রবেশ করবে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ভাইরাস! দুই ডোজ বা সম্পূর্ণ একটি ভ্যাকসিনে ভেতরে আছে ১০০ বিলিয়ন ভাইরাস। করোনাভাইরাসের ক্ষুদ্রতা সম্পর্কে নিশ্চয়ই কিছুটা ধারণা করতে পারছি। চলে যাওয়া বছরের আলোচিত চরিত্রের শীর্ষ স্থানটি দখলের ক্ষেত্রে এই অতি ক্ষুদ্র করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না।
-
ড. বিজন বলছিলেন, ভাইরাসের চরিত্রই এমন সে বারবার নিজেকে পরিবর্তন করে। উহানে শুরুর সময়ের যে করোনাভাইরাস আর এখনকার সারা পৃথিবীর করোনাভাইরাস এক নয়। বারবার পরিবর্তন হয়েছে।