খুলনায় আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৯.২০ শতাংশ
খুলনায় করোনা চিকিৎসা দেওয়া পাঁচটি হাসপাতালের মধ্যে চারটিতে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় ৩১৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২০ শতাংশ।
গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালগুলোর করোনা ইউনিটে তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আওতাভুক্ত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।'
তিনি জানান, ২০০-শয্যার এ করোনা হাসপাতালে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১৯ জন ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে রেড জোনে ৪১ জন, ইয়ালো জোনে ৪৬ জন, এইচডিইউতে ১৩ জন ও আইসিইউতে ১৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ ডেইলি স্টারকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে ৮০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৯ জন। এছাড়াও, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে তিন জন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আট জন।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ ডেইলি স্টারকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ৪৫ শয্যার করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩৯ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে দুই জন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন জন।
গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে হাসপাতালের ১৫০ শয্যার করোনা ইউনিটে ৬০ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে চার জন ও এইচডিইউতে ছয় জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ছয় জন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ছয় জন।
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি। হাসপাতালের ৯০ শয্যার করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৬০ জন ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন নয় জন ও এইচডিইউতে দুই জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে সাত জন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।
Comments