কুষ্টিয়ায় যুবককে ৩ মিনিটে ২ ডোজ করোনা টিকা
কুষ্টিয়াতে একজনের শরীরে তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই ডোজ কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সারাদিন ধরে অস্বীকার করলেও সন্ধ্যায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শোমসপুর ইউনিয়নের বুজরুখ মির্জাপুর গ্রামের বাসারুজ্জামান (৩৮) খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টিকা নিতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
বাসারুজ্জমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তিনি টিকার কার্ড নিয়ে নির্ধারিত কক্ষে গেলে সেখানে অতিরিক্ত ভিড় থাকায় কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স শামীম আরা তাকে পাশের রুমে যেতে বলেন। পাশের রুমে গেলে নার্স হোসনে আরা তার শরীরে টিকা পুশ করে পাশের অন্য একটি রুমে গিয়ে তিন মিনিট অপেক্ষা করে চলে যেতে বলেন। তখন তিনি আবারও শামিম আরার রুমে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। শামীম আরা তাকে দেখতে পেয়ে ডেকে নিয়ে টিকা পুশ করে দেন।
বাসারুজ্জমান জানান, দ্বিতীয়বার টিকা নেওয়ার পর নার্স শামীম আরাকে জিজ্ঞেস করেন দুইবার টিকা নিতে হয় কি না? তখন নার্স বলেন, এক ডোজে একবার। তখন জানতে চান, তাকে কেনো দুইবার টিকা দেওয়া হলো? তখন নার্স তাকে জিজ্ঞেস করেন আপনি একবার টিকা নিয়েছেন বলেননি কেন? বাসারুজ্জামান তখন বাইরে বের হয়ে আসেন।
জানা গেছে, বাসারুজ্জামান তখন সোজা বাড়ি গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানার পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরউদ্দিনকে জানান। চেয়ারম্যান ঘটনাটি খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাসারুজ্জামানের এক আত্মীয় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুজ্জমান সোহেল বিষয়টি কাউকে না জানানোর অনুরোধ করেন।'
তবে, নার্স শামীম আরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটা একটা ভুল হয়েছে। উনি একবার টিকা নিয়েও আমাকে জানাননি।'
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা আজ দুপুরে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জমানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে বলেন, 'এর জন্য টিকা গ্রহণকরা ব্যক্তি দায়ী। যখন তাকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছিল, তখন তিনি বলেননি কেন।'
তবে, দুবার টিকা দেওয়া হলেও কোনো সমস্যা হবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'সারাদেশে এ রকম ঘটনা অহরহ ঘটছে।'
এছাড়া 'ওই ব্যক্তি সুস্থ আছেন এবং আমি নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছি', বলেন তিনি।
Comments