৩৭ লাখ মামলা জট, ২০২২ সালে ৬ লাখ কমানোর পরিকল্পনা
দেশে প্রায় ৩৭ লাখ মামলার জট তৈরি হয়েছে জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এ জট নিরসন করতে হবে। আগামী বছর ২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিচারকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
রোববার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ৪২তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মামলাজট কমানোর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গত কয়েক বছরে ১১৫২ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও বিচারক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখন কোনো পদ শূন্য হওয়ার সাথে সাথে তা পূরণ করা হচ্ছে।
কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্ব বদলে গেছে এবং এখন প্রতি নিয়ত বিশ্ব বদলে যাবে। তার সাথে তাল মিলাতে বাংলাদেশকেও বদলাতে হবে। বাংলাদেশ বদলে গেলে বিচারকদেরকেও বিচারিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বদলাতে হবে।
বিচারকদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আজ প্রথমবারের মতো এ ইনস্টিটিউটে একইসাথে দুটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা সম্ভব হলো।
আনিসুল হক বলেন, আজকে বাংলাদেশ নতুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে ২১ বছর বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজমান ছিল। অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে কি-না সে বিষয়ে মানুষের যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। সেই সংস্কৃতি বদলে গেছে। এখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে বিচারপ্রাপ্তির সংস্কৃতিতে এসেছি। সেজন্য বিচারকদের প্রয়োজনীয়তা এবং মর্যাদা দুটোই বেড়েছে। এই প্রয়োজনীয়তা এবং মর্যাদা ধরে রাখার অবিচ্ছেদ্য অংশীদার হলেন বিচারকরা। বিচারকরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করলে আদালতের প্রতি জনগণের আশা ও আস্থা বাড়বে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার, ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন।
Comments