সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে গণঅনশন-বিক্ষোভ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় পূজা মণ্ডপ, মন্দির, হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে গণঅনশন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী ব্যাংক রোডের শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে এই গণঅনশন কর্মসূচি শুরু হয়। এই কার্যক্রম চলবে বেলা ১২টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নোয়াখালী জেলা শাখা সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট পাপ্পু সাহা আজ সকালে জানান, ১২টার পর গণঅনশন শেষে চৌমুহনীতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করবেন তারা।
জানা যায়, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে সহিংসতা চালানো হয়। ওই ঘটনায় চৌমুহনীতে ইসকন ভক্ত যতন সাহা ও প্রান্ত চন্দ্র দাস নামের ২ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন।
গণঅনশনে অ্যাডভোকেট পাপ্পু সাহা বলেন, 'গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে কয়েক হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে চৌমুহনী ব্যাংক রোড, কলেজ রোড ও ডিবি রোডে প্রথমে হিন্দুদের দোকান ভাঙচুর, লুটপাট করে এবং পরবর্তীতে ৮টি মন্দির ও ৫টি পূজা মণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়। ওই হামলায় ইসকন মন্দিরের ২ ভক্ত নিহত হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'হামলার সময় বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সুপার ও ডিসিকে কল করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।'
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে বেগমগঞ্জ থানার ওসি কামরুজ্জামান সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
Comments